কার্যকরী আইন ও ল্যাব না থাকায় কাজ করতে পারছে না বিএফএসএ-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Friday 27 July 2018

কার্যকরী আইন ও ল্যাব না থাকায় কাজ করতে পারছে না বিএফএসএ-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, রিপোর্ট:
বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) গেল দুই ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সালে গঠিত হলেও নানা সংকট আর জটিলতা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিএফএসএ’র নিজস্ব কোনও ল্যাব নেই। তাই খাদ্যের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে।
এতে নানা জটিলতায় পড়তে হচ্ছে বিএফএসএ’কে। কখনও দেখা যাচ্ছে ল্যাব পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে রিপোর্ট।
বিএফএস এর মেম্বার মাহবুব কবির আরটিভি অনলাইনকে বলেন, আমরা দেশের বাইরে থেকেও খাবার পরীক্ষা করেছি। কিন্তু তার ওপর ভরসা করতে পারছি না।
আমাদের বিধিমালায় একটি আন্তর্জাতিক মানের (রেফারেল) ল্যাব তৈরি করার কথা বলা আছে। এই রিপোর্টের মান এতোটাই উন্নত যে, সে রিপোর্টের ফলাফল নিয়ে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না।
এমনকি কোর্ট ল্যাবের রিপোর্ট নিয়ে শতভাগ নিশ্চিত থাকবে। এই ল্যাব তৈরি করার জন্য একনেকে এবং মন্ত্রিসভায় কাজ চলছে। মন্ত্রিসভায় পাশ হলেই ল্যাব তৈরির কাজ শুরু হবে।
বিএফএসএ’র মেম্বার মাহবুব কবির আরও বলেন, আমরা নানা জটিলতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। জনবল কম। ল্যাব নেই। আমরা কখনও বিএসটিআই এবং সাইন্সল্যাব থেকে নমুনা পরীক্ষা করছি। তবে খুব শিগগিরই ল্যাব হয়ে যাবে। এছাড়ও আইনে কিছু সংশোধনী রয়েছে। সেগুলোর জন্য সংশোধনী দেয়া হয়েছে।
আমাদের আইনে শুধু মামলা করার কথা বলা আছে। কিন্তু কোনও জরিমানার ক্ষমতা দেয়া নাই। আমরা আইনের সংশোধনীতে বলেছি, যেন সরাসরি যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করতে পারি। এছাড়া কোনও ভোক্তা যদি অভিযোগ নিয়ে আসে এবং অভিযোগের সত্যতা মিলে তাহলে তাকে জরিমানার কিছু অংশ থেকে টাকা দিয়ে দেয়া যায়।
এছাড়াও আমাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করতে হলে নূন্যতম তিন লাখ টাকা জরিমানা করতে হবে। যখন কোনও ছোট প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করতে হয়, তখন সেই প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা যায় না।
এছাড়া অতিরঞ্জিত কোনও বিজ্ঞাপন বা পণ্যের গায়ে লেবেল দেয়া যাবে না। ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার জন্য লোভনীয় বিজ্ঞাপনী ভাষা ব্যবহার করা যাবে না। ক্রেতাকে বিভ্রান্তিকর কোনও তথ্য দেয়া যাবে না।
যা দেশের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ফুড সেফটি অথরিটির (বিএফএসএ) মোড়ক বদ্ধ খাদ্য লেভেলিং প্রবিধানমালা ২০১৭-এর পরিপন্থি। এ কারণে প্রভাবিত করার এসব বিজ্ঞাপনী ভাষার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে অনেক কোম্পানি নানা দাবি তুলছে বা অপকৌশল অবলম্বন করছে। এনার্জি ড্রিংকস, জুস, দুধ, বিস্কুট, হরলিক্সসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে নানা কৌশলী বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে। এর মধ্যে অনেকগুলোই দৃষ্টিগোচর হয়েছে বিএফএস এর।
যেমন সাদার চেয়ে সাদা, একটু বেশি পিওর, অসম্ভবকে সম্ভব করা, কোনও কথায় আর হারিয়ে যাবে না, জ্বলে উঠুন সত্যতার শক্তিতে, দিন বদলায়ে গেছে, লাক্স সৌরভে সুরভিত হন।
প্রবিধানমালার দ্বিতীয় অধ্যায়ে লেভেলিং শিরোনামে চার নম্বর ধারার(৭)উপধারায় বলা হয়েছে, ‘লেভেলে চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ বা সমতুল্য কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সুপারিশকৃত কোনও অভিব্যক্তি প্রকাশ বা ঘোষণা করা যাইবে না, যাহা হইতে ক্রেতা বিভ্রান্ত হইতে পারে।’ আর উপধারা (৮)-এ বলা হয়েছে, ‘খাদ্য বা খাদ্যপণ্যের গুরুত্ব বৃদ্ধি করিতে উহার পরিমাণ ও পুষ্টিগুণের বিষয়ে লেভেলে কোনও মিথ্যা তথ্য, দাবি বা অপকৌশল অথবা রোগ নিরাময়কারী ইত্যাদি ধরনের কোনও বিভ্রান্তিকর তথ্য বা দাবি এবং উৎসস্থল সম্পর্কে কোনও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য লিপিবদ্ধ করা যাইবে না।’
তবে সরকার বা কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত কোনও কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে গুণগতমানের নিশ্চয়তা বিধানসংবলিত সিল প্রদান করা যাইবে।’
এর ব্যাখ্যায় বিএফএসএ বলছে, যারা উৎপাদক তারা কোনও প্রকার দাবি তুলতে পারবে না। খাদ্যে যদি পুষ্টি থাকে এবং যা উপাদান থাকবে তা উল্লেখ করতে পারবে। তবে এই উপাদান খেলে কী হয়, বা হবে তা কোনোভাবেই বলা যাবে না।
বিএফএসএ বলছে, লেভেলে বা বিজ্ঞাপনী প্রচারে কোনও বিশেষজ্ঞের মতামত দেয়া যাবে না।
‘প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে মোড়েকে বিক্রয় করিবার এবং মোড়কের গায়ে উৎপাদন, মোড়কীকরণ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ এবং উৎস-শনাক্তকরণ তথ্যাবলী স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করিবার শর্ত ছাড়া। কোনও পণ্য বিক্রয় করতে পারে না।’
এছাড়া আইনের ৩২ নম্বর (ঘ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘প্যাকেটকৃত কোনও খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যকরণের মোড়কে লিপিবদ্ধ তথ্য পরিবর্তন করিয়া বা মুছিয়া কোনও খাদ্যদ্রব্য বা খাদ্যপোকরণের বিক্রয় করলে দুই বছরের বেশি বা এক বছর কারাদণ্ড। চার লাখ টাকা বা দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করতে পারে। একুশে মিডিয়া।”

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages