ঐতিহ্যবাহী কাকলি সিনেমা হল ভেঙে মার্কেট নির্মাণ, থাকছে সিনেপ্লেক্সও-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Friday 27 July 2018

ঐতিহ্যবাহী কাকলি সিনেমা হল ভেঙে মার্কেট নির্মাণ, থাকছে সিনেপ্লেক্সও-একুশে মিডিয়া


একুশে শেরপুর বিনোদন রিপোর্ট:
শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী কাকলি সিনেমা হল ভেঙে ফেলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে আধুনিক সিনেমা হল ও মার্কেটের চাহিদা থাকায় কোম্পানির পরিচালক ও শেয়ার হোল্ডাররা ঐতিহ্যবাহী কাকলি সিনেমা হল, মার্কেট ও গেস্ট হাউজ ভেঙে কাকলি কমপ্লেক্স নামে একটি অত্যাধুনিক মার্কেট, সিনেপ্লেক্স ও আবাসিক হোটেল নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় হতে কাকলি সিনেমা হল ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, শহীদ বুলবুল সড়কে অবস্থিত সিনেমা হলটি আবার নতুন করে অত্যাধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তিসম্পন্ন ‘কাকলি সিনেপ্লেক্স’ নির্মাণ হতে সময় লাগবে প্রায় সাড়ে তিন বছর। আর এমনটি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
১৯৬৯ সালে তৎকালীন মুসলিম ব্যবসায়ীদের মধ্যে অগ্রগণ্য নিজাম উদ্দিন আহাম্মদ ও তার দুই ভাই মো. হযরত আলী, মো. আব্দুল্লাহ আবু ফারুক এবং শেরপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মঙ্গল চন্দ্র সাহার পক্ষে তার স্ত্রী রমা রাণী সাহাকে অংশীদার করে কাকলি সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে কাকলি মার্কেট ও কাকলি গেস্ট হাউজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬৯ সালে মান্নান ও সুচন্দা অভিনীত ‘পরশমনি’ ছবিটি প্রথম প্রদর্শিত হয় এবং ২০১৮ সালের জুলাই মাসে হল ভাঙার সময় শেষ ছবি হিসাবে সিয়াম আহমেদ ও পূজা চেরি অভিনীত ‘পোড়ামন-২’ ছবিটি প্রদর্শিত হয়।
ছবির দর্শক শিবু কারুয়া ও প্রদীপ সাহা কার্ত্তিক একুশে মিডিয়াকে বলেন, ‘একসময় আমরা হলে গিয়ে ছবি দেখার পোকা ছিলাম। মাঝে মধ্যে দু একটা ছবি এখনও হলে গিয়ে দেখি। কিন্তু হলের পরিবেশ এখন সুন্দর নেই। তবে আধুনিক সিনেপ্লেক্স হলে আবার সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখার পরিবেশ তৈরি হবে। এজন্য ভালো সিনেমা হলের পাশাপাশি নির্মাতাদের ভালো ছবিও বানাতে হবে’।
কাকলি কোম্পানি প্রা: লিমিটেডের পরিচালক হাসান মোহাম্মদ কিবরিয়া একুশে মিডিয়াকে বলেন, সময়ের প্রয়োজনেই পুরাতন সিনেমা হল, মার্কেট, গেস্টহাউজ ভেঙে কাকলি কমপ্লেক্স নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সে লক্ষে কাজ এগিয়ে চলছে। এ কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শেষ হতে প্রায় সাড়ে তিন বছর লেগে যাবে।
তিনি আরও বলেন, অত্যাধুনিক এ কমপ্লেক্সের প্রথম তিনটি তলায় থাকবে মার্কেট, চতুর্থ তলায় থাকবে শিশুদের বিনোদন কেন্দ্র তথা শিশু পার্ক, পঞ্চম তলায় থাকবে সিনেপ্লেক্স ও ফুড কোর্ট যা কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকবে। ষষ্ঠ ও সপ্তম তলায় থাকবে আবাসিক হোটেল ও সেমিনার হল। একুশে মিডিয়া।’

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages