একুশে মিডিয়া, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:>>>
গাইবান্ধা
জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ ও অশ্লীল
ভাষায় আসামীর মাকে বকা দেওয়ার অভিযোগ বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করায় তাৎক্ষনিক
ভাবে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করে
নিয়েছেন।
আজ ২৭ নভেম্বর (বুধবার) গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র এর আদালতে এ অভিযোগ উঠে বলে একটি
নির্ভরযোগ্য সুত্র নিশ্চিত করেছে।
জানাগেছে,
গোবিন্দগঞ্জ থানার এসআই জিল্লুর রহমান আদালত চত্বরে একটি গরু চুরির মামলার
আসামী মামুন মিয়াকে রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে আসামীর মা জাহানারা বেগমের নিকট ১০
হাজার টাকা দাবি করে। এ বিষয়টি তাৎক্ষণিক বিজ্ঞ আদালতকে অবগত করেন আসামীর
মা জাহানারা বেগম।
পলাশবাড়ী উপজেলার নান্দিশহর
গ্রামের খাদেম আলীর ছেলে আসামী মামুন মিয়ার মা জাহানারা বেগম জানান, গত ২৫
নভেম্বর গরু চুরির অভিযোগে পুলিশ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়ন
থেকে তার ছেলে মামুন মিয়াকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় থানায় একটি গরু চুরির
মামলা দায়ের করা হয়। যাহার মামলা নং- জিআর ৫২৬/২০১৯। উক্ত মামলার আসামী
মামুন মিয়া আটক পিকআপ ভ্যানের ড্রাইভার। এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান
থানার এসআই জিল্লুর রহমান। তিনি আজ ২৭ নভেম্বর গ্রেফতারকৃত আসামী মামুন
মিয়াকে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ডের
আবেদন করেন। ছেলের রিমান্ডের ভয় দেখিয়ে আসামীর মা জাহানারা বেগমের কাছে ১০
হাজার টাকা দাবি করেন। ভয়ে আসামীর মা ২ হাজার টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করে
আদালত চত্বরে নগদ ২ হাজার টাকা দেন এবং আরো ৫ হাজার টাকা বাড়ী থেকে বিকাশে
নেন এসআই জিল্লুর রহমানকে দেওয়ার জন্য। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই জিল্লুর রহমান
ওই আসামীর মা জাহানারা বেগমকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে মোবাইল ফোন কেড়ে
নেন। তবে বিজ্ঞ আদালত ওই আসামী মামুন মিয়ার রিমান্ড আবেদন নাকচ করেছেন।
আদালতের
সিএসআই ক্ষিরোদ বাবু বলেন, সে সময় তিনি আদালতের ভিতরে ছিলেন। এ বিষয়ে
আসামীর মা জাহানারা বেগম বিজ্ঞ আদালতকে অবগত করার সময় ঘটনাটি তিনি জানতে
পারেন।
এসআই জিল্লুর রহমানের সাথে এ ব্যাপারে মুঠোফোনে কথা বলার চেস্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ
বিষয়ে গাইবান্ধা সহকারী পুলিশ সুপার সি-সার্কেল আসাদুজ্জামান এর কাছে
জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসআই জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে আগেই অনেক অভিযোগ
ছিল। তবে আজকের অভিযোগ তদন্ত না করে আগেই কিছু বলা যাবে না।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment