৬ মাসে সোনালী, জনতা ও রূপালী ব্যাংকে বেড়েছে ৫৩০ কোটি টাকা, অগ্রণীতে কমেছে সাড়ে ৪১ কোটি টাকা - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday 30 November 2019

৬ মাসে সোনালী, জনতা ও রূপালী ব্যাংকে বেড়েছে ৫৩০ কোটি টাকা, অগ্রণীতে কমেছে সাড়ে ৪১ কোটি টাকা


একুশে মিডিয়া, রিপোর্ট:>>>
ব্যাংকিং খাতে ‘ফোর্সড লোন’ দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। সরকারি খাতের চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংকে জুন পর্যন্ত ফোর্সড লোনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে জানুয়ারি থেকে জুন- এ ৬ মাসে সোনালী, জনতা ও রূপালী ব্যাংকে ফোর্সড লোন বেড়েছে ৫৩০ কোটি টাকা। তবে অগ্রণী ব্যাংকে কমেছে ৪১ কোটি ৫১ লাখ টাকা।=
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, সাধারণত পণ্য আমদানির বিপরীতে ফোর্সড লোন সৃষ্টি হয়। তবে যাচাই-বাছাই না করে এলসি খুললে ঝুঁকি বাড়বে। দীর্ঘদিন জমে থাকা ফোর্সড লোনই ধীরে ধীরে খেলাপির দিকে যাবে। এ ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়া দরকার। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জুন পর্যন্ত জনতা ব্যাংকের ফোর্সড লোন ৫ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। যা ডিসেম্বরে ছিল ৫ হাজার ২১৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে এ ব্যাংকে ফোর্সড লোন বেড়েছে ৪৬৭ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে জনতা ব্যাংকের ফোর্সড লোনের পরিমাণ।=
এ বিষয়ে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুছ ছালাম যুগান্তরকে বলেন, ফোর্সড লোনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে কোনো অসুবিধা হবে না। যাদের বেশি ফোর্সড লোন হয়েছে এমন বড় দুটি গ্রাহক এখন টাকা দিতে পারছে না। তাই সাময়িকভাবে ফোর্সড লোন কিছুটা বেড়েছে। এগুলো দ্রুতই আদায়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আদায় বাড়লে ফোর্সড লোন সমন্বয় হয়ে যাবে।=
সোনালী ব্যাংকের ফোর্সড লোনের পরিমাণ ২ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। যা ডিসেম্বরে ছিল ২ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা। সে হিসাবে ৬ মাসের ব্যবধানে ব্যাংকটির ফোর্সড লোন বেড়েছে ৫৮ কোটি টাকা। রূপালী ব্যাংকের ফোর্সড লোন রয়েছে ৭৭৯ কোটি টাকা। যা ডিসেম্বরে ছিল ৭৭৪ কোটি টাকা। সে হিসাবে ৬ মাসে ব্যাংকটির ফোর্সড লোন বেড়েছে ৫ কোটি টাকা। রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ যুগান্তরকে বলেন, কিছুটা বাড়লেও ঠিক হয়ে যাবে। টাকা আদায়ে জোর দিচ্ছি।=
তবে সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে জানুয়ারি থেকে জুন এ ৬ মাসে একমাত্র অগ্রণী ব্যাংকেরই ফোর্সড লোনের পরিমাণ কমেছে। তারা ফোর্সড লোন থেকে আদায়ের পরিমাণ বাড়ানোর কারণে সার্বিকভাবে এ খাতে ঋণের পরিমাণ কমে গেছে। বর্তমানে ব্যাংকটির ফোর্সড লোনের পরিমাণ ১৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। যা ডসেম্বরে ছিল ৬০ কোটি টাকা। সে হিসাবে ৬ মাসে ব্যাংকটির ফোর্সড লোন কমেছে ৪১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শামস উল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ফোর্সড লোন আদায়ের জন্য বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। সে কারণে এর পরিমাণ কমেছে। আগামীতে এর পরিমাণ আরও কমে যাবে বলে আশা করি।=
জ্যেষ্ঠ ব্যাংকার শফিকুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ফোর্সড লোন বেশির ভাগই হচ্ছে ‘ব্যাক টু ব্যাক এলসির’ বিপরীতে। এ ধরনের ঋণ যাতে আর না বাড়ে সেজন্য ব্যাংকগুলোর আরও যাচাই-বাছাই করে এলসি খোলা উচিত। ফোর্সড লোন বেড়ে যাওয়া কোনোভাবেই ভালো লক্ষণ নয়।=
পণ্য আমদানির (ঋণপত্র বা এলসি) বিপরীতে বিদেশি ব্যাংককে গ্যারান্টি দিয়ে থাকে দেশি ব্যাংক। দেশে আমদানি পণ্য আসার পর শর্ত অনুযায়ী গ্রাহক ব্যাংকে টাকা পরিশোধ করলে ওই অর্থ বিদেশি ব্যাংককে দেশি ব্যাংক পরিশোধ করে দেয়। এক্ষেত্রে গ্রাহক কোনো কারণে অর্থ পরিশোধ না করলে আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী গ্রাহকের নামে ব্যাংক ফোর্সড বা বাধ্যতামূলকভাবে সমপরিমাণ ঋণ সৃষ্টি করে। ওই অর্থে ব্যাংক বিদেশি ব্যাংকের দেনা শোধ করে। এভাবে ব্যাংক গ্রাহকের নামে ফোর্সড লোন সৃষ্টি করে। মূলত আমদানির বিপরীতেই এসব ফোর্স লোন সৃষ্টি হয়েছে।=




একুশে মিডিয়া/এমএসএ=

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages