গাইবান্ধা জেলায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday 11 December 2019

গাইবান্ধা জেলায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি


মোঃ তৌহিদুর রহমান তুহিন, গাইবান্ধা:>>>
গাইবান্ধা জেলায় পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম যোগদান করার পর থেকে জেলার আইন শৃঙ্খলার চরম উন্নতি পরিগনিত হচ্ছে।
মাদক সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ ও যাত্রার নামে জুয়াখেলারু বেশি হিসেবে পরিচিত ছিলো  এ জেলা।
পুলিশ সুপারের সার্বিক সহোযোগীতায় গত দুই মাসে ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গাইবান্ধার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুর্বের চেয়ে স্বাভাবিক হয়ে উঠতে শুরু করেছে।সাদা পোষাকের পুলিশের ভয়েই আতঙ্কে রয়েছে মাদক ব্যবসায়ী,সন্ত্রাসী ও বিভিন্ন এলাকার চোর ডাকাতের সদস্যরা।ফলে সাধারন জনমনে স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়েছে।
সাম্প্রতি ডিবি পুলিশের অভিযানে সাঘাটা থেকে আগ্নেয় অস্ত্রসহ ডাকাত দলের নেতা আটকের পরই রোড ডাকাত ও নৌ ডাকাতেরাও গা ঢাকা দিয়ে আছে। 
পরে রাত দুপুরেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজন সিএনজি, অটোভ্যান যোগে দুর দুরান্ত থেকে রাত দুপুরেও বাসা বাড়িতে নিবিঘ্নে চলা ফেরা করছে। 
থানা পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোষাকের পুলিশি টহল বাড়ানোর কারণেই অপরাধীরা নিজ এলাকা ছেড়েছে বলেও অনেকেই জানান।শীত মৌসুমে কুয়াশার মাঝে সিএনজি অটো রিক্সা,বাস ট্রাক আটকিয়ে ডাকাতি বা ছিনতাই ঘটনা ঘটলেও গত দুমাসে তা হয়নি।চরাঞ্চলের মানুষ ডাকাতের ভয়ে নির্ঘুম রাত জেগে তাদের সহায় সম্বল, গরু ছাগল পাহাড়া দিলেও এবছর তা লাগছেনা বলে জানিয়েছেন অনেকেই।
মোকামতলা থেকে সাঘাটা ও গোবিন্দগঞ্জ থেকে মহিমাগঞ্জ ও বোনারপাড়া আসার পথে সীমান্ত দুই উপজেলার সীমান্ত এলাকায় প্রায়ই যানবাহন আটকিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে যাত্রী ও পথচারীদের সর্বস্ব লুটে নিতো।এমনকি অনেক সময় সিএনজি অটোরিক্সাও ছিনিয়ে নিতো। পলাশবাড়ি গাইবান্ধা রোডে বাস আটকিয়ে ডাকাতি করতো ডাকাতরা।
জেলার ফুলছড়ি ও সাঘাটা এবং ইসলামপুর এলাকার সীমান্তে নৌ ডাকাতির মত ঘটনা অহরহ ঘটলেও দুই এলাকার থানা পুলিশের তৎপরতা বাড়ানোর ফলে গত দুমাসে একটি ডাকাতিও করতে পারেনি নৌ পথের ডাকাতরা। আর এসব কে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি বলে মনে করছেন সচেতন ব্যক্তিরা। 
বর্তমান পুলিশ সুপার যোগদানের পর থেকে দুরদর্শিতার কারণে এবং তার কৌশলের কারণে মাদক কারবারি, চোর-ডাকাতদল, ছিনতাইকারি, জুয়াড়ী,জঙ্গী সংগঠনের সদস্যরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান,আমরা যা করি তা আমাদের পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম মহোদয়ের নির্দেশনায় কাজ করে থাকি।তার নিদের্শনা মোতাবেক মাদক সন্ত্রাস, ডাকাত, ও জুয়াড়ীদের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা জেলাকে মুক্ত করতেই ডিবির টিম সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশের সাদা পোষাকে জণগণের সাথে মিশে অপরাধীদের চিহ্নিত করে পরে অভিযান চালানো হচ্ছে।এতে ফল ভালো পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশ মাদক, ডাকাত, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসীর সাথে কোন আপোষ নয়। শুধু পরিবার নয় সমাজ থেকে এদের উৎখাত করাই পুলিশের লক্ষ্য। কারণ জনগণের সেবা এবং তারা যেন শান্তিতে চলতে ফিরতে পারে এবং তাদের জানমাল রক্ষাই আমাদের দায়িত্ব আর সেই দায়িত্ব পালনে নিজেকে উৎসর্গ করতেও পিছুটান দিতে নারাজ। 
এব্যাপারে সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বেলাল হোসেন ও ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ কাওছার আলীর সাথে কথা বললে তারা জানান, পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশমত তার দেয়া কৌশল অবলম্বন করার কারণেই নৌ পথের ডাকাতদের কোণ ঢাসা করতে পেরেছি।আর যেসব এলাকায় রাস্তাঘাটে ডাকাতি বা ছিনতাই ঘটনা ঘটতে পারে সেসব এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করে রাখা হয়েছে।
পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলামের সাথে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একান্ত আলাপ চারিতায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাদক সন্ত্রাস জঙ্গীবাদের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি ও আইজিপি মহোদয়ের নির্দেশেই নিজেকে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। তিনি বলেন, পুলিশের দায়-দায়িত্ব নিয়ে জনমনে অতিতের সকল ধারণা পাল্টে আমুল পরিবর্তণ এনে দিতেই কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের বেতন হয়, আর সেই জনগণ ভালো থাকবেনা, জানমালের নিরাপত্তা থাকবেনা, শান্তিতে ঘুমোতে ও চলতে ফিরতে পারবেনা। তা কেনো হবে ? অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি আমার দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছি মাত্র। জনগণ যদি উপকৃত হয় সেটাই আমার চাওয়া ও পাওয়া। আর আমি গাইবান্ধা জেলার মানুষের কতটা উপকারে আসতে পারছি তা জনগণই বিবেক দিয়ে বিচার করবেন। আমি আমার সহকর্মীদের নিয়ে জনগণের সেবা দেয়ার জন্য কাজ করে যেতে চাই।




একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages