করোনা ভাইরাস রোধে আগাম প্রস্তুতি চমেক খোলা হয়েছে আইসোলেশন ইউনিট - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday 2 February 2020

করোনা ভাইরাস রোধে আগাম প্রস্তুতি চমেক খোলা হয়েছে আইসোলেশন ইউনিট


মোহাম্মদ জিপন উদ্দিন, চট্টগ্রাম:>>>
চীনে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস নিয়ে সতর্ক অবস্থানে চট্টগ্রামের স্থানীয় প্রশাসন। এখনও পর্যন্ত কোনো রোগী চিহ্নিত না হলেও এরই মধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে সকল প্রকার প্রস্তুতি।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ তিনটি হাসপাতালে খোলা হয়েছে আইসোলেশন ইউনিট। জানা গেছে, করোনা ভাইরাস শনাক্তে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে দুই চিকিৎসকের স্থলে গত শুক্রবার থেকে আরও ৪ জন বাড়িয়ে মোট ৬ জন করা হয়েছে। প্রতিদিন দুই শিফটে চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া সমুদ্রগামী জাহাজের মাধ্যমে ‘করোনা ভাইরাস’ যাতে ছড়াতে না পারে সেই লক্ষ্যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ভাইরাস নির্ধারণে চার জনের একটি মেডিক্যাল টিম রাখা হয়েছে বন্দরে। চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটি সী অ্যাম্বুলেন্সও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য পেতে বিমানবন্দরে তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে। এদিকে, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫টি, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) এ ৫টি এবং চট্টগ্রাম
জেনারেল হাসপাতালে ৪টি বেডের ব্যবস্থা রেখে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
তিনিবলেন, এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত করা হয়নি। তবে এ ব্যাপারে আমরা আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। তিন হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট খোলাসহ বিমান বন্দরে বাড়ানো হয়েছে চিকিৎসকের সংখ্যা। এদিকে, চীনে অধ্যয়নরত দুই বাংলাদেশি জ্বর অনুভব করলে তাদের বিআইটিআইডিতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
এ ব্যাপারে বিআইটিআইডি’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ হাসান চৌধুরী বলেন, চীনে অধ্যয়নরত দুই শিক্ষার্থী বাংলাদেশে ফিরে জ্বর অনুভব করায় তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তবে রোগীদের এমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রক্ত পরীক্ষার জন্য ঢাকায় জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে নমুনা পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, আমাদের যথোপযুক্ত প্রস্তুতি রয়েছে। হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটসহ চট্টগ্রামে প্রবেশ পথ বিশেষ করে বিমানবন্দর এবং সমুদ্রবন্দরে মেডিক্যাল ডেস্ক বসানো হয়েছে। বন্দর হাসপাতাল থেকে একটি সী অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাছাড়া বিমানবন্দরে আলাদা করে
তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে।





একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages