ফটিকছড়ি করোনা প্রতিরোধে যে ১৬টি গৃহীত পদক্ষেপ - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday 25 March 2020

ফটিকছড়ি করোনা প্রতিরোধে যে ১৬টি গৃহীত পদক্ষেপ


মোহাম্মদ জিপন উদ্দিন, চট্টগ্রাম:
ফটিকছড়িতে কোভিট-১৯(করোনা ভাইরাস) প্রতিরোধের লক্ষ্যে উপজেলা কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক হলে করোনা প্রতিরোধে এক বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মোঃ সায়েদুল আরেফিনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সংসদ-সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবু তৈয়ব,ফটিকছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) বাবুল আকতার, ফটিকছড়ি পৌর মেয়র মোঃ ঈসমাইল হোসেন প্রমুখ।
অতঃপর সভাপতি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ গৃহীত কার্যক্রম বিষয়ে সভায় বলেন, প্রবাসী যারা দেশে ফিরেছেন তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা নির্দেশনা না মেনে বাইরে ঘোরাঘুরি করেছে তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দাম বাড়ানোর কারণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
মাননীয় সংসদ সদস্য বলেন, ফটিকছড়ি উপজেলার করোনা বিস্তাররোধে এবং তা মোকাবেলায় করণীয় বিষয় নির্ধারণের উপর গুরুত্বরোপ করেন এবং তিনি এ দূর্যোগ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিভাগ প্রযুক্তির বিষয়ে সভায় অবহিত করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তাকে বলেন, করোনা ভাইরাস বিস্তাররোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ২০৭জনকে ১৪দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে এবং নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। যদি কোন প্রবাসী অসুস্থ্য হয়ে পড়ে তাদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য সরকার চট্টগ্রাম শহরে ০৩টি হাসপাতালকে প্রস্তুত রেখেছে। সেখানে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে। তিনি চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে এবং এই দূর্যোগ মোকাবেলায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সার্বিক দিক বিবেচনা এবং বিস্তারিত সভার পরদিন করোনা ভাইরাস বিস্তাররোধ বুধবার (২৫মার্চ) নিম্নলিখিত সিদ্ধান্ত সমূহ গৃহীত হয়।
০১.ফটিকছড়ি উপজেলার হাট-বাজারসমূগে শুধুমাত্র ঔষধের দোকান ব্যতিত সকল দোকান-পাঠ রাত ৮.০০ টার পর বন্ধ রাখতে হবে।
০২. ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখ হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকল রেস্তোরাঁ শুধুমাত্র পার্সেলের মাধ্যমে খাবার বিক্রি করবেন। রেস্তোরাঁয় বসিয়ে খাবার পরিবেশন করা যাবে না।
০৩. ২৫মার্চ ২০২০ তারিখ হতে সকল প্রকার চা'য়ের দোকানগুলোতে চা বিক্রি বন্ধ রাখতে হবে, দোকানের সামনে কোন টুল বা চেয়ার রাখা যাবেনা, কোন টিভি চালানো যাবেনা এবং দোকানের সামনে কোন প্রকার গণজামায়েত করা যাবে না।
০৪. হাট-বাজারগুলোতে জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত (খাদ্য দ্রব্য, ঔষধ ক্রয় ও চিকিৎসা) অযথা ঘোরাঘুরি করা যাবে না। বিষয়টি নিজ এলাকায় মাইকিং এর মাধ্যমে সার্বক্ষণিক প্রচার করার জন্য সংশ্লিষ্ট মেয়র এবং ইউ.পি. চেয়ারম্যানগণকে অনুরোধ করা হলো।
০৫.জনসমাগম এড়ানোর জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল ২০২০ খ্রিঃ তারিখ পর্যন্ত এনজিও গুলোর ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত  গৃহীর হয়।
০৬. পাড়ার দোকানে লুডু, কেরামসহ সকল প্রকার খেলা বন্ধ রাখতে হবেম
০৭. সকল সামাজিক সংগঠন /ক্লাব এবং গণজামায়েত পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।
০৮. যারা গুরব ছড়াচ্ছে বা ছড়াবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৯. পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জরুরী মূহুর্ত মোকাবেলায় এবং সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য উপজেলা পরিষদে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোলরুম খোলার সিন্ধান্ত গৃহীত হয়। উক্ত কন্ট্রোলরুমে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা / কর্মচারীগণকে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব প্রদান করবে।
১০. উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগেত অফিসিয়াল দৈনন্দিন কার্যক্রম দ্রুত সম্পানের লক্ষ্যে উপজেলা পরিষদের ইন্টারনেট ও কম্পিউটারে দক্ষ একজন কর্মচারীকে হাসপাতালের দাপ্তরিক কার করার জন্য সংযুক্ত প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১১. করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)  তত্বাবধানে আপদকালীন একটি জরুরী ফান্ড গঠনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উক্ত জরুরী ফান্ডে মাননীয় সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি ১লক্ষ টাকা অনুদান দেয়। এবং তাকে সভার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ প্রদান করা হয়। উক্ত জরুরী ফান্ডে অনুদান প্রদানের জন্য ফটিকছড়ি বিত্তবানদের সহযোগীতা কামনা করেন।
১২. পৌরসভা এবং ইউনিয়নসমূহে প্রতি ওয়ার্ডে প্রতিদিন মাইকিং এর মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রচার ও লিফলেট বিতরণ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১৩. কোন জনপ্রতিনিধি এবং দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী দায়িত্ব অবহেলা করলে এবং অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে দায়ী থাকবেন।
১৪. পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বাইরের সকল প্রকার খেলাদুলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১৫. পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত চা বাগানগুলোতে কোন দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
১৬. প্রত্যেক বাজারে ইজারাদার কর্তৃক বাজারে চলাকালীন সময়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন মূলক মাইকিং করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।



একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages