ভালোবাসার খুনসুটি লেখক হাঁওয়া খান - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday 11 July 2020

ভালোবাসার খুনসুটি লেখক হাঁওয়া খান

একুশে মিডিয়া, রিপোর্ট:

আমার ও পরানে যাহা চায় তুমি...ফোনের রিংটোন। কিছুখন ধরে আমার ফোনটা বেজেই যাচ্ছে। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলাম কে কল করলো যার নাম দেখলাম মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।
আবার ও কল দিছে এবার ধরলাম, আমি: কুত্তা কি হইছে তোর জন্য কি শান্তিতে ঘুমাতেও পারবো না। অপর পাশে: ঘুমাবি পরে আছরের আজানের আগে তোকে আর তোর কুত্তী কে নিয়ে কলেজ মাঠে আসবি। আমি: আইছে, মামু বাড়ি আবদার। অপর পাশে: তারাতাড়ি আসবি বলেই কল কেটে দিলো।
এতোখন যার সাথে কথা বললাম সে হলো আমার ফ্রেন্ড রায়হান আর যে কুত্তীর কথা বলেছে সে পরী সেও ফ্রেন্ড আর আমি মনি। আমি: দুর ভালো লাগে না এতো সুন্দর ঘুমটা আমার শেষ। দেখি পরীকে কল দিয়ে।
পরী: কিরে আজ হঠাৎ তুই কল দিলি।এমনিতে আমি কল দিলে তাও তোকে পাওয়া যায় না। আমি: আজাইরা কথা বাদ দিয়ে তারাতাড়ি তৈরি হয়ে কলেজের মাঠে আয়। পরী: কেনো কি হয়েছে। আমি: আয় তারপর বলবো বলেই কল কেটে দিলাম। ১০ মিনিট পর কলেজের গেটে গিয়ে পরীকে কল দিলাম।
আমি: কিরে কই তুই। পরী: আমি কলেজের মাঠে তুই সামনে তাকা বইন একটু। আমি: সামনে তাকিয়ে দেখি বসে আছে ঘাসের উপর পরী। পরী: কিরে হঠাৎ এখানে ডাকলি কোনো সমস্যা। আমি: না আমার সমস্যা না কোনো তোদের সমস্যা। পরী: কেনো রায়হান কিছু বলছে।
এর মধ্যে রায়হান এলো এসে আমার পাশে বসলো পরী ও রায়হানের মাঝখানে আমি বসা। পরী: ও এখানে কি করে। তুই থাক আমি যাই। আমি: একটু বস কাজ আছে। রায়হান : মনি ওরে বল রাগ করছে কেন আমার সাথে। আমি: কিরে পরী রাগ করছো কেন ওর সাথে। পরী: ওরে বল হঠাৎ ফোন বন্ধ করছে কেন। আমি: রায়হান তুই নাকি ফোন বন্ধ করছো হঠাৎ।
রায়হান: তাকে বলে দে ফোনে চার্জ ছিলো না তাই বন্ধ হয়ে গেছে। আমি ইচ্ছে করে বন্ধ করিনি। পরী: বুজছি। রায়হান : বুজলে ভালো, এখন ওরে জিগা কাল বিকালে কার সাথে কথা বলছে।
পরী: বলে দে আম্মু কল দিছিলো। আমি: আরে বাবা তোরা দুজনে এ বিষয় নিয়ে কথা বলে মিটিয়ে নিলেই তো হতো মাঝখানে আমাকে রেখে আমার মাথা ধরাস কেন তোরা। পরী: তুই চুপ থাকতো। আগে ওরে সরি বলতে বল। রায়হান : কেনো শুধু শুধু সরি বলবো। আমি: আরে বলে দে তোদের দুজনের কথা দুই কান দিয়ে শুনতে শুনতে কান শেষ হয়ে যাবে।
পরী: সরি না বললে আর কথাই বলবো না ওর সাথে। রায়হান : ওকে বলতেছি সরি পরী: ঠিক আছে আমি: এখন আমি যাই প্রচুর ঘুম পেয়েছে তোদের জন্য ঘুমাতে পারলাম না। রায়হান : যা ভাগ হগুন। আমি: আবার কিছু হলে আমাকে ডাকিস তখন দেখবো কে আসে। পরী: যা যা হপালে যা।
আমি ওদের কাছ থেকে চলে আসলাম কিছুদূর এসে দেখি আমার যানে মান বেষ্টু সুরাইয়া। আমি: ওই পেত্নি গেছিলি কই। সুরাইয়া : ঘুরতে আসছিলাম আন্টিকে নিয়ে। রায়হান আর পরীকে দেখলাম মনে হয়। আমি: হুম ওদের জন্যইতো আসা পাগল দুইটায় আবার মান অভিমান করেছিলো। আর তা মিটাতে আমার কানের বারোটা বাজছে।
সুরাইয়া: কিভাবে সহ্য করিস এতো বকবকানি ওদের। আমি: একটু নাহয় ওদের বকবকানি আমি সহ্য করে নিলাম তবুও যেনো বেঁচে থাকে পাগল দুইটার ভালোবাসা। সুরাইয়া : তুই পারিস ও বটে।।।আচ্ছা টাটা আন্টি ডাকতেছে। আমি: ওকে পেত্নী। তারপর আমি আমার গন্তব্য স্থলে রওনা দিলাম। আমার যে বাসায় ফিরে ঘুমাতে হবে।
 
 
 
 
 
একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages