বিসমিল্লাহ যোগ করে ৩৬০টি ‘মদের বারের’ লাইসেন্স দিয়েছিলেন জিয়া: কৃষিমন্ত্রী-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday 22 July 2018

বিসমিল্লাহ যোগ করে ৩৬০টি ‘মদের বারের’ লাইসেন্স দিয়েছিলেন জিয়া: কৃষিমন্ত্রী-একুশে মিডিয়া

ছবিঃ সংগৃহীত
একুশে মিডিয়া, ঢাকা রিপোর্ট:
আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, যে সময়ে জিয়াউর রহমান সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহ’ শব্দটি যুক্ত করেছিলেন ঠিক সেই সময়ে সারাদেশে ৩৬০টি ‘মদের বারের’ লাইসেন্স দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘ইয়থ ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে সে ক্লাবে হাউজির নামে জুয়া খেলার লাইসেন্সও তিনি দিয়েছিলেন। লাকী খানের ঝাঁকী নৃত্যরও প্রচলন শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান।’
‘যুবসমাজকে নষ্ট করার জন্য যত রকমের অপকর্মের দরকার সবটাই ৭৫ পরবর্তী সরকারেরা করেছে’ বলে জানান সরকারের এই মন্ত্রী।
আজ রবিবার (২২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা কলেজে আ ন ম নজিব খান অডিটোরিয়ামে আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উপকমিটি আয়োজিত ‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় মাদকমুক্ত দেশ গঠনে ছাত্রসমাজ’ শীর্ষক এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় বক্তৃতাকালে রেসকোর্সের নাম বদল করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান করেন। এবং সেখানে রেসকোর্স অর্থাৎ ঘোড় দৌড় বন্ধ করেন। একইসঙ্গে মদের বার ও জোয়া খেলা বন্ধ করেন। ৭৫ পরবর্তী সরকারেরা দেশের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা না করেই তা পুনরায় চালু করেন।’
‘এই তারাই না কি ইসলামিক ভাবধারায় বিশ্বাস করেন!’ যোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেত্রী বলেন, ‘কোন ইসলামে আছে জুয়া খেলার বৈধ্যতা দিতে হবে? কোন ইসলামে আছে যে মদের বারের লাইসেন্স দিতে হবে? লাকী খানের ঝাঁকি নৃত্যের নামে উলঙ্গ নৃত্যের বৈধত্য দিতে হবে? যে বঙ্গবন্ধু ‘হিজবুল বহর’ নামের একটি জাহাজের মাধ্যমে হজ্জ যাত্রীদের হজ্জে যাওয়ার ব্যবস্থা করতেন সেই ‘হিজবুল বহর’-এর মাধ্যমে জিয়াউর রহমান বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সিঙ্গাপুরে যান এবং সেখানে গিয়ে তাদের ছেড়ে দেন। এই হলো তার ধর্মীও প্রেম, এই হলো তার দেশপ্রেম।’
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন সকল ষড়যন্ত্র ভেদ করে বাংলাদেশ বিশ্বে বিস্ময় সৃষ্টি করে এগিয়ে যাচ্ছে তখনেই নতুন ষড়যন্ত্র শুরু। মাদক সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেয়া, আগুন সন্ত্রাস করা, রোহিঙ্গাদের উস্কিয়ে দেয়া। কিন্তু কোনো কিছুতেই শেখ হাসিনা সরকারকে বাধাগ্রস্থ করতে পারেনি; এগিয়ে যাচ্ছে অগ্রতিরোধ্য গতিতে।’
আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও উপকমিটি সদস্য সচিব শামসুন্নাহার চাঁপার সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী, মানসের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী। তিনি লেজার স্ক্রিনে স্বচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে বাংলাদেশে মাদকের বিস্তার, মাদক গ্রহণের ফলে এদেশের যুব সমাজ তথা মাদকাসক্তদের পরিণতি এবং তা থেকে উত্তরণের পথ তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশ দেশের দারিদ্রপীড়িত মানুষের কল্যাণের জন্য জাতির জনক যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তা আজ অনেকাংশেই বাস্তবায়িত। স্বাধীন বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় কিসিঞ্জারের মতো ভিনদেশীরা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে বলেছিলেন এই দেশ আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। তলাবিহীন ঝুরি হয়ে থাকবে। কিন্তু আজ সব তাচ্ছিল্যের জবাব শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ দিয়ে দিয়েছে। আজ বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের বিস্ময়।’
মত বিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের বাণিজ্য অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপকমিটি সদস্য ড. আমিনুর রহমান সুলতান ও শিউলী আফসার।
অনুষ্ঠানে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতারা ঢাকা কলেজকে মাদকমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। সেই সঙ্গে ঢাকা কলেজের সামনে যে মদের (গ্যালাক্সি) বার রয়েছে তা সরানোর জন্য জোর আবেদন জানান। একুশে মিডিয়া।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages