চট্টগ্রামে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে জন্ডিস!-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Monday 23 July 2018

চট্টগ্রামে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে জন্ডিস!-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম রিপোর্টধ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড এলাকায় কয়েকটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে জন্ডিস। গত এক সপ্তাহ পূর্ব থেকে একের পর এক নারী পুরুষ এ রোগে আক্রান্ত হতে থাকে। শনিবার (২১ জুলাই) রাতে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কহিনুর আক্তার (৩০) নামে এক নারী।
এছাড়াও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে একই এলাকার জুয়েলের স্ত্রী পিংকি (১৯) ও মোশারফ (৩৫)।
এদিকে সোমবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি মেডিকেল টিম বাড়বকুণ্ডের এসকেএম জুট মিল এলাকায় আলী চৌধুরীপাড়ায় স্বাস্থ্য পরিক্ষা করে ২৯জন জন্ডিস রোগী সনাক্ত করেছে। তাদের মধ্যে ১৭জন গুরুতর অসুস্থ্য বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ‘একুশে মিডিয়া’কে নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার দুপুরে বাড়বকুণ্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অনেকের চামড়া এবং চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে গেছে। ক্ষুধামন্দা, অরুচি, বমি বমি ভাব ও জ্বর দেখা গেছে। অনেকের প্রস্রাব গাঢ় হলুদ বর্ণের হয়ে গেছে বলে ‘একুশে মিডিয়া’কে জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক সপ্তাহ পূর্ব থেকে বাড়বকুণ্ডের আলী চৌধুরীপাড়া ও ডালিপাড়া এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে এ রোগে শতাধিক শিশুসহ নারী-পুরুষ আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ডালিপাড়া এলাকার এ রোগে আক্রান্ত বাবুলের স্ত্রী কহিনুর আক্তার মারা যান।
রোববার এ খবরটি ছড়িয়ে পড়লে সোমবার সকালে ওই এলাকায় যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি সাত সদস্যের চিকিৎসক দল। তারা ৬৯ জন আক্রান্ত রোগীকে রক্ত পরিক্ষা করেন। এদের মধ্যে ২৯জন আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হন বলে জানিয়েছেন মেডিকেল টিমের প্রধান ডাক্তার জাহেদুল ইসলাম।

বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে এক সন্তানের জননী কহিনুর আক্তারের মৃত্যু বিষয়টি ‘একুশে মিডিয়া’কে নিশ্চিত করে বলেন গত এক সপ্তাহে শতাধিক নারী-পুরুষ আক্রান্ত হয়েছে। তা পর্যায়ক্রমে বাড়ছে বলে জানান।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এস এম নুরুল করিম রাশেদ ‘একুশে মিডিয়া’কে বলেন, জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত এলাকায় ৫ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকায় অন্যান্য নারী-পুরুষদেরও পর্যায়ক্রমে রক্ত পরীক্ষা অব্যাহত থাকবে। তবে শনিবারে মারা যাওয়া কহিনুর এ রোগে আক্রান্ত হয়নি বলে দাবি করে তিনি বলেন, কহিনুর অন্য কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে।
তিনি ‘একুশে মিডিয়া’কে আরও বলেন প্রবল বর্ষণে স্থানীয় পুকুর গুলোর জীবাণুযুক্ত পানি কূপের মধ্যে ঢুকে পড়তে পারে। আর ওই কূপের পানি পান করার কারণে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে এ রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম, পানি ফুটিয়ে পান করা, অতিরিক্ত মসল্লা, তৈলাক্ত খাদ্য ও ভাজাভুজি পরিহার করতে হবে বলে জানান তিনি। একুশে মিডিয়া।’

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages