হাফিজুর এর পাখি শিকারের ‘গল্প’-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday 4 November 2018

হাফিজুর এর পাখি শিকারের ‘গল্প’-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, মুক্তমত রিপোর্ট:
আমি এম ডি হাফিজুর রহমান।
সিরাজগঞ্জ জেলাধীন উল্লাপাড়া উপজেলার আওতাধীন উধুনিয়া ইউনিয়নের বেলাই গ্রামে আমার বসবাস। আমি কোনো কাজ একবার দেখলে সেটা আমার মেমরিতে সেভ করে ফেলি। মেধাশক্তি খুব একটা খারাপ না। তাই আমি পরে ওই কাজ খুব ভালোভাবেই করতে পারি ।
এবার আসল কথায় চলে আশি। আমি তখন ক্লাস টু অর্থাৎ দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ি। তো একদিন ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফিরছিলাম। পথমধ্য এক পাখি শিকারির সাথে দেখা হল। দেখলাম ওই শিকারি পাখি ধরবার জন্য ফাঁদ পাতছেন। আমি তখন এক দৌড়ে বাড়ি আশি। এবং বই খাতা রেখে খাবার না খেয়েই ছুটলাম পাখি শিকার করা দেখতে। আমার বাড়ি আসা-যাওয়া, এতটুকু সময়ের ব্যবধানেই ওই শিকারি একটা পাখি শিকার করে ফেলেছিল। আর ওই পাখিটা ছিল কানা বক।
আমি আগেই বলেছি, আমার মেধাশক্তি খুব একটা খারাপ না। আমি কোনো কাজ একবার দেখলে সেটা পরে আমি নিজেই করতে পারি। তাই আগের দিন ওই বেধের পাখী শিকার করার ফাঁদ দেখে, পরেরদিন আমিও ওই ফাঁদ তৈরি করি। আর ফাঁদ টা ছিল বাঁশের তৈরি। পরদিন ক্লাস শেষ করে বিকেলবেলা পাখি শিকারের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়ি। কিন্তু সেদিন আমি কোনো পাখি শিকার করতে পারিনি। কিন্তু আমি হতাশ না হয়ে, পরদিন খুব সকালে ফাঁদ নিয়ে বেড়িয়ে পড়ি। যেখানে বক আহার করতে আসে সেখানে পুটি মাছ দিয়ে ফাঁদ টা রেখে আশি। একটু দূরে আসতে না আসতেই দুটো কানা বক এসে পরে আমার ফাঁদের পাশে। আমি দূর থেকে সেটা লক্ষ্য করছিলাম। দেখলাম দুটো বকের মধ্যে একটা বক ফাঁদের উপর দেয়া পুটি মাছে ঠোকর দিতেই আটকে যায় আমার রেখে আসা ওই ফাঁদে। তৎক্ষণাৎ আমি দৌড়ে গিয়ে আনন্দের সহিত ওই পাখিটা নিয়ে বাড়ি চলে আশি।
সেদিন থেকেই আমার পাখি শিকার শুরু হয়। তার পর থেকে আমি অনেক পাখি শিকার করেছি। পাখি গুলোর মধ্যে ছিল :- কানা বক, রাতচোরা পাখি, ডাহুক ও ঘুঘু। তবে রাতচোরা পাখিও কানা বক ই সবচেয়ে বেশী শিকার করেছি।
এভাবেই পাখি শিকার করে আসছিলাম আমি। আমি তখন ক্লাস টেনে পড়ি। হঠাৎ একদিন আমার বিবেক জাগ্রত হয়ে উঠলো। আমার মনে হল এই যে আমি পাখি শিকার করছি, এমনও তো হতে পারে যে, পাখিটার বাসায় ছোট ছোট বাচ্চা আছে। আর ওই ছোট ছোট বাচ্চা পাখির জন্যই মা অথবা বাবা পাখি খাবার নিতে এসে আমার ফাঁদে আটক হয়ে যায়। আর আমার কারণে ওই ছোট ছোট বাচ্চা পাখিরছানা না খেতে পেরে মারা যাবে। আমার তখন থেকে অনুশোচনা হয়। আমি আমার ভুল বুঝতে পারি আর আমি পাখি শিকার করা একেবারে বন্ধু করে দেই।
আসুন আমরা অতিথি পাখি সহ সকল পাখি শিকার বন্ধ করি। আমরা পাখি বিলুপ্ত হওয়া রোধ করি। অন্যকে পাখি শিকার করা থেকে বিরত রাখি।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages