চট্টগ্রাম-১৪ আসন নিয়ে বিপাকে ঐক্যফ্রন্ট!-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday 22 November 2018

চট্টগ্রাম-১৪ আসন নিয়ে বিপাকে ঐক্যফ্রন্ট!-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, মাসফিক, চট্টগ্রাম থেকে:
চট্টগ্রাম ১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসন থেকে এবার ঐক্যফ্রন্ট হতে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ড. কামাল হোসেনের গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। কিন্তু জোটের অন্যতম শরীক এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদের কথা চিন্তা করে সরে দাঁড়ান তিনি। তিনি নির্বাচন করতে চান রাজধানীর সূত্রাপুর, গন্ডারিয়া, ওয়ারী এ তিন থানা মিলে গঠিত ঢাকা-৬ আসন থেকে।
তবে সুব্রত চৌধুরী ছেড়ে দিলেও আসনটিতে এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না জোট বা ফ্রন্টের প্রার্থীতা নির্ধারণের বিষয়ে। কারণ এ আসনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমানের ভাই কেন্দ্রীয় বিএনপির পরিবার ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক মহসিন জিল্লুর রহমান এবং চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনও মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাদের দুজনের পক্ষ থেকেই দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলে আপাতদৃষ্টিতে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন পেতে কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নন।
কর্নেল (অব.) অলি আহমদ ও অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর প্রতিদ্বন্দ্বীতার বিষয়টির আপাতত ফয়সালা হলেও বিএনপির দুই নেতা এবং জামায়াতে ইসলামীর দাবির বিষয়গুলোর এখনো কোনো সুরহা হয়নি। তা ছাড়া জোট কিংবা ফ্রন্ট কোনো ক্ষেত্রেই এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি।
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ- সাতকানিয়া আংশিক) আসন থেকে পাঁচবার বিএনপি আর একবার এলডিপি থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন এলডিপির প্রতিষ্টাতা সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। ফলে বলতে গেলে অলি আহমদের নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য এখন স্থায়ী আসনেই পরিণত হয়ে গেছে বলে মনে করেন ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বেশির ভাগ শীর্ষস্থানীয় নেতা।
‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন নিয়ে কর্নেল (অব.) অলি আহমদ কি অনিশ্চয়তায় রয়েছেন কিনা’ এমন প্রশ্নের জবাবে এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেন, তিনি এ আসন থেকে পাঁচবার বিএনপি আর একবার এলডিপি থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নির্বাচনী এলাকায় জোটগতভাবে অন্য কেউ মনোনয়ন দাবি করবে, এটা কল্পনাতীত। কাজেই অনিশ্চয়তার বিষয়টি ঠিক নয়। তা ছাড়া যিনি জিতে আসতে পারবেন তাকেই ২০ দলীয় জোট থেকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে আমাদের।
এলডিপি সূত্রে জানা যায়, দলটি থেকে ৩০ জনকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি সংবলিত তালিকা বিএনপির কাছে দিলেও পরে চূড়ান্তভাবে ১২টি আসনের তালিকা দেওয়া হয়। যারা ইতিপূর্বে বিভিন্ন আসন থেকে নির্বাচন করে এমপিও হয়েছেন বিভিন্ন সময়।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে কর্নেল (অব.) অলি আহমদ চন্দনাইশ এবং সাতকানিয়া-লোহাগাড়া এ দুটি আসনে নির্বাচন করে চন্দনাইশ থেকে বিজয়ী হলেও সাতকানিয়ায় জামায়াতের প্রার্থীর কাছে হেরে যান।
আসন ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘কর্নেল (অব.) অলি আহমদ ছাড়তে চাচ্ছেননা আসনটি। কারণ এটি তার পুরনো আসন এবং ছয়বার এমপি হয়েছেন সেখান থেকে। অন্যদিকে সেটা আমার নিজেরও জন্মস্থান। আমারও দাবি রয়েছে। কিন্তু সব দিক চিন্তা করে আমি সেখান থেকে সরে এসে ঢাকা-৬ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দল থেকে মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছি।


একুশে মিডিয়া/এমএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages