কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হলেন লাকসামের কৃতি সন্তান। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday 30 March 2019

কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হলেন লাকসামের কৃতি সন্তান। একুশে মিডিয়া



এম এ হাসান, কুমিল্লা:>>>
কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হলেন লাকসাম উপজেলার কৃতি সন্তান, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জামাল নাসের।নিজের সকল কর্তৃত্বের অবদানের একমাত্র অবদান  মুক্তিযোদ্ধা পিতার, এমনটাই বললেন অনূভুতি প্রকাশ কালে নির্বাচিত এই শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।
উল্লেখ্য জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে কুমিল্লা জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ হয়েছেন কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জামাল নাসের। তিনি কুমিল্লা লাকসাম উপজেলার কৃতি সন্তান।উপজেলার ভূলইন ইউনিয়নের বাসিন্দা ভাষা সংগ্রামী-বীরমুক্তিযোদ্ধা,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মো: তাজুল ইসলামের ৮ ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে জামাল নাসের।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস কমিশন (বিসিএস) ১১ তম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে প্রভাষক হিসেবে  চাকুরী জীবন শুরু করেন। তারপর কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকতা করেন।তিনি কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরিচালক(হিসাব ও নিরীক্ষণ) হিসেবে ও দায়িত্বে ছিলেন।গত ২০১৮ সালের মার্চের ২৮ তারিখ কুমিল্লা মহিলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
এ দায়িত্বভার গ্রহণের পর কলেজটির অবকাঠামোগত পরিবর্তনসহ কলেজটির শিক্ষার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব পরির্বতন আনেন। আর এমন কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষের তালিকায় নাম রয়েছে শিক্ষক জামাল নাসেরের।
এমন শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতির অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে প্রফেসর জামাল নাসের বলেন, নব্বই দশকের আগে যে কয়টা কলেজ নারী শিক্ষা প্রসারে সারা দেশে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে তার মধ্যে অন্যতম কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ। নারী শিক্ষায় অগ্রদূতের ভূমিকায় থাকা কলেজটি নব্বই দশকের পরে সে অবস্থান ধরে রাখতে পারেনী।
এক সময় এ কলেজে প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। বিষয়টি নি:সন্দেহে আনন্দের যে কলেজে প্রভাষক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলাম গত এক বছর ধরে সে কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছি। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোন ছাড় দেই নাই।
আমি কাজ করেছি মূল্যায়নের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। তারা আমার কাজের মূল্যায়ন করেছেন। আমাকে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষের স্বীকৃতি দিয়েছেন। আসলে এমন স্বীকৃতির ক্ষেত্রে যিনি আমার আদর্শ আমার অনুপ্রেরণা তিনি আমার বাবা।আমি গর্ব করি আমার বাবার জন্য। তিনি শুধু একজন আদর্শ পিতাই নন,তিনি একজন ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। আমার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম শিকারপুরী। যার হাত ধরে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কিংবদন্তীতুল্য নেতা অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদার রাজনীতিতে আগমন করেন।
বার্ডের প্রতিষ্ঠাতা ড:আখতার হামিদ খানের সরাসরি ছাত্র ছিলেন আমার বাবা। স্বাধীনতা পরবর্তীতে এলাকায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখতে বিচার শালিসে সর্দারের ভূমিকা পালন করেন।
আমরা ৮ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে আমি বড়। আমার বাবাই চেয়েছিলেন তার বড় ছেলে যেন শিক্ষক হয়। শিক্ষক হয়েছি বাবার স্বপ্ন পূরণ করেছি বহু আগেই। তবে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষের স্বীকৃতি পাওয়া আমার ব্যক্তি জীবনে জন্য বিশেষ কিছু আর আমার বাবার স্বপ্নের পরিধি বিস্তৃত করা সব মিলিয়ে বলতে পারি আমি আমার বাবার স্বপ্নের পথে হাটছি, এটাই আমার এক জীবনের সবচেয়ে বড় সার্থকতা।







একুশে মিডিয়া/এমএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages