ছাত্রী ধর্ষন ও যৌন হয়রানী প্রসঙ্গে যা বলছেন: টুটু। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Monday 8 April 2019

ছাত্রী ধর্ষন ও যৌন হয়রানী প্রসঙ্গে যা বলছেন: টুটু। একুশে মিডিয়া

ফাইল ফটো
একুশে মিডিয়া, মুক্তমক রিপোর্ট:>>>
লেখক: সুশীল দে টুটু:
ইদানিং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া ও এফবি'র মত মুক্ত মিডিয়ায় কিশোরী ছাত্রী ধর্ষন, যৌন হয়রানীর খবর গুলো দেখে আমরা অভিভাবকরা প্রতি মুহুত্বে শংকিত বোধ করছি। মনে হয় ব্যাপারটা যেন মহামারী আকারই ধারণ করেছে। আর এই ধর্ষকের ভুমিকায় কখনও শিক্ষক, কখনও কোচিং সেন্টারের পরিচালক, কখনও সহপাঠী, কখনও পাড়ার বখাটে কিশোর অথবা কখনও ছাত্রীটির নিকটাত্মীয় কেউ জড়িত।
স্কুল পড়ুয়া একজন ছাত্রী যখন ধর্ষন বা যৌন হয়রানীর শিকার হয় অনেক সময় লোক লজ্জার ভয়ে পুরো ব্যাপারটিই গোপন রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এই ধর্ষক'রা ছাত্রীদের পরীক্ষায় বেশী নাম্বার দেওয়ার প্রলোভন, অলৌকিক বিশ্বাস, বিভিন্ন ভয় ভীতি, অথবা মানসিক চাপ প্রয়োগ করে অবুঝ ছাত্রীটি'কে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে ।
এ রকম জঘন্য অপরাধ করে অনেক সময় উক্ত ধর্ষককে বিচারের মুখোমুখি যেমন হতে হয় তেমনি ব্যাপারটি অপ্রকাশিত থাকার কারণে অপরাধী সেই একই ব্যক্তি পুনরায় অন্য কারও সাথেও পুনরায় একই অপরাধে জড়িয়ে পরে।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গঠিত পরিচালনা কমিটি, শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী ও অভিভাবক রা একটু আন্তরিকতায় এগিয়ে আসলে ধর্ষন ও যৌন হয়রানীর মত ঘঠনা জঘন্য অপরাধ গুলো অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে আমার বিশ্বাস।
প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক মহোদয় শুধুমাত্র মহিলা শিক্ষিকাদের নিয়ে একটি টিম গঠন করে দেবেন। টিমের সদস্য রা প্রতি মাসের শেষ কর্ম দিবস অথবা সুবিধামত একটা তারিখ নির্ধারণ করে মাসে একবার বিদ্যালয়ের সকল ছাত্রীদের নিয়ে বসে সরাসরি আলাপ আলোচনা করে বিভিন্ন সমস্যা জানতে চেষ্টা করবে।
যেমনঃ
একজন ছাত্রী তার সহপাঠী দ্বারা মানসিক বা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কি না?

স্কুলের কোন শিক্ষক দ্বারা ধর্ষন বা যৌন হয়রানীর মত ঘঠনার ঝুঁকিতে আছে কি না?
ছাত্রীটি কোচিং সেন্টার বা বাইরে কোথাও প্রাইভেট পড়ে থাকলে সেখানকার কারও দ্বারা যৌন হয়রানী বা মানসিক হয়রানীর শিকার হচ্ছে কি না? সেখানকার শিক্ষকের আচার আচরণগত কোন সমস্যায় আছে কি না?
বাড়ীতে তার ঘনিষ্ঠ বা নিকটাত্মীয় কর্তৃক এ রকম ঘঠনার শিকার হচ্ছে কি না?
স্কুলে আসা যাওয়ার সময় রাস্তায় বখাটেদের দ্বারা কোন সমস্যায় পরে কি না?
মনে রাখতে হবে কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা বিষয়গুলো জানতে চাওয়ার সময় উক্ত ছাত্রীর সাথে শতভাগ আন্তরিকতা ও অভয় প্রদান করতে হবে। বুঝাতে হবে এতে ছাত্রীটির কোন দোষ নাই তার সাথে মারাত্বক অন্যায় করা হচ্ছে তাই অন্যায়কে রুখা সবার দায়িত্ব।
এরকম ঘঠনা প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে উক্ত কমিটি গোপনীয়তার সাথে তাৎক্ষনিক প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে অবহিত করে দ্রুত প্রতিকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করলে ধর্ষন ও যৌন হয়রানীর মত ঘঠনা অনেক হ্রাস পাবে বলে আমার বিশ্বাস।
বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি, সচেতন শিক্ষক সমাজ এবং সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও মাননীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।।

লেখক পরিচিতি:
সদস্য, পরিচালনা কমিটি,
বাণীগ্রাম সাধনপুর উচ্চ বিদ্যালয়,
বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।।



একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages