ভোলায় চলছে আইপিএল ক্রিকেট জুয়া ধ্বংসের মুখে যুব সমাজ। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday 10 April 2019

ভোলায় চলছে আইপিএল ক্রিকেট জুয়া ধ্বংসের মুখে যুব সমাজ। একুশে মিডিয়া


মোঃ আরিয়ান আরিফ, ভোলা:>>>

ভারতের মাটিতে ক্রিকেট খেলা হলেও বাংলাদেশে এর জোয়ার বইছে। আইপিএলকে ঘিরে চলছে জমজমাট বাজি নামক জুয়া খেলা। উপজেলার প্রতিটি পাড়া মহল্লা, খেলার মাঠে, হাট বাজারে এমনকি গ্রামগঞ্জের প্রতিটি চায়ের দোকানে আইপিএল ক্রিকেট খেলা নিয়ে বাজির নামে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর।
দুর্বল টিমের সঙ্গে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের খেলা থাকলে সে ক্ষেত্রে দেয়া হচ্ছে লোভনীয় অফার। আইপিএল ঘিরে চলছে বাজিকরদের রমরমা বাজি।এক ম্যাচের পাওয়ার প্লেতে কত রান হবে! ৫-১০ ওভারে কত রান হবে! খেলায় কে কতটি উইকেট পাবে! কে কত রান করবে ইত্যাদি বাজিতে মেতে উঠে ক্রিকেট জুয়াড়ীরা।
১০০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকার উপরে ধরা হয় বাজিতে অর্থ্যাৎ যে টাকা বাজি ধরা হবে তার দ্বি-গুন পাবে জিতলে সেই ব্যক্তি। কেউ টাকা হেরে সর্বস্ব হারায় আবার কেউ টাকা জিতে আনন্দ উল্লাস করে।’ যা গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে।টেলিভিশনের সামনে বসে খেলা দেখা দর্শকদের মাঝে চলে দর কষাকষি। বিভিন্ন পেশার লোক এই ক্রিকেট জুয়ায় মেতে উঠে।
জুয়াড়ীদের এই নতুন ধান্ধায় মেতে উঠেছে অভিজাত এলাকাগুলো।বিভিন্ন মোড়ের দোকানগুলোতে প্রকাশ্যে চলে এই ক্রিকেট বাজি। দলগত হার-জিত নির্ধারণ বাজির পাশাপাশি চলে ওভার বা বল বাই বল বাজি।এ দেখে নতুন প্রজন্মের অনেকেই বাজি ধরে সর্বস্ব হারিয়ে মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়ছে।
সূত্রে থেকে জানা যায়,মহল্লার কিছু দোকান মালিকরা বাজিকরদের মাধ্যম হিসেবে টাকা জমা,আদান প্রদানসহ বাজি ধরার জুয়াড়ি ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রিকেট বাজিকর বলেন, আমাদের বাজি ধরার ধরনও ভিন্ন এবং তা হয় অনেক বড় অংকের টাকায়।ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জুয়ার টাকা জোগার করতে ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।এই বাজির টাকা জোগাড় করতে বা পরিষদ করতে গিয়ে সৃষ্টি হয় কুকর্ম।
এই জন্য অনেকেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। অনেকেই নিজের মোবাইল থেকে শুরু করে হারিয়েছেন নগদ টাকা। শুধু বিত্তশালীরা নয় এতে আসক্তি হয়ে পরেছেন স্কুল পড়ুয়া ছোট ছোট শিশুরাও । যার ফলে উদ্বিগ্ন হয়ে পরেছেন
অভিভাবকবৃন্দরা। এভাবে চলতে থাকলে যুবসমাজধ্বংসেরমুখে পতিত হবে বলে মনে করেন অভিভাবক মহল।এব্যাপারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রশাসন ক্রিকেট বাজিকরদের দমন করলে হয়ত কিছুটা বাজি বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল। এসব অপকর্ম থেকে রেহাই পেতে অভিভাবকদের দৃঢ় সচেতনতার প্রয়োজন।
এভাবে বাজি ধরার প্রবণতা চলতে থাকলে সামাজিক অবক্ষয় ছাড়াও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে যুব সামাজ।





একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages