রাবিতে চলছে চৈত্রসংক্রান্তির প্রস্তুতি। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday 10 April 2019

রাবিতে চলছে চৈত্রসংক্রান্তির প্রস্তুতি। একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, রাবি প্রতিনিধি:>>>
বছর ঘুরে আসছে নতুন বছর। বাঙ্গালী ঐতিহ্য চৈত্র মাসের শেষ এ দিনকে বলে চৈত্রসংক্রান্তি। দিনটিকে বিদায় দিতে উৎসবের আমেজে মেতেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগ। প্রতি বছরের মত এবারও এ বিদায়ী আয়োজনে চলছে নানা প্রস্তুতি।

চৈত্রসংক্রান্তির আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই আয়োজনে প্রস্তুতিরও কমতি নেই। বিভাগ ঘুরে দেখা যায় যায় অনুষ্ঠানকে জমকালো করে তুলতে শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছে। কেউ অনুষ্ঠানের ডেকোরেশনের কাজে ব্যস্ত আবার কেউ কেউ গান, নৃত্য, অভিনয় অনুশীলন নিয়ে ব্যস্ত। ক্যাম্পাসে যখন সবাই নতুন বছরকে বরণ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে সেখানে এ বিভাগ চৈত্র সংক্রান্তি উৎযাপন নিয়ে ব্যস্ত।
কারণ জানতে চাইলে বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সামিউর রহমাস সেতু বলেন, এক সময় চৈত্রসংক্রান্তিতে বেশ কিছু উৎসব ছিল গ্রামীণ জীবনে। এর মধ্যে গাঁজন, দোল, নীল উৎসব, চড়কপূজা- এগুলো প্রধান। নারীরা ব্রত পালন করতেন। সময় পরিক্রমায় সেই উৎসবের আমেজ নেই বললেই চলে তবে এখনো গ্রামাঞ্চলে এই উৎসবের প্রচলন আছে। সেই ধারাবাহিকতায় সেখানে আমদের বিভাগ এটি আয়োজন করে এবং এটিই আমাদের বিভাগের সব থেকে বড় আয়োজন। আমি মনে করি বাঙ্গালী এ সংস্কৃতিকে রক্ষা করা আমাদের প্রয়োজন।
বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিফতাহুল আবেদিন চৈত্রসংক্রান্তি সম্পর্কে বলেন, এটি আমদের বিভাগের ঐতিহ্য। আমরা সংস্কৃতির মূলকে তুলে ধরতে চাই। চৈত্রসংক্রান্তি উদযাপনের মাধ্যমে বাঙ্গালি সংস্কৃতি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকে। এই দিনটির জন্য আমরা সারাবছর অপেক্ষা করি। আমাদের কাছে এই দিনটির মূল্য অনেক।
বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শাহানা আক্তার আইরিন বলেন, নৃবিজ্ঞান বিভাগে এবারই প্রথম এই চৈত্রসংক্রান্তি উদযাপন করব। শুনেছি এই অনুষ্ঠনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের চেয়ে আমাদের বিভাগ জমকালো আয়োজনে করে থাকে। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আমাদের অনুশীলন চলছে। আশা করি খুব সুন্দর একটা প্রোগাম উপহার দিতে পারব।
শুধু শিক্ষার্থীরাই নয় আয়োজনে মেতেছে বিভাগের শিক্ষকরাও। এই অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কে.এম. মেরকাতুল ইসলাম, শামিম আহমেদ এবং অভিজিৎ রায়। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অভিজিৎ রায় বলেন, চৈত্রসংক্রান্তি বাঙ্গালী জাতির একটি চিরায়ত উৎসবের দিন। সময়ের স্রোতে চৈত্রসংক্রান্তি উদযাপনের রেওয়াজ বাঙ্গালীর ঐতিহ্য থেকে এখন হারিয়ে যাওয়ার পথে। সবাই যখন নতুন বছরকে বরণ করবার জন্য ব্যস্ত হয়ে পরেছে, আমরা তখন এই চৈত্রকে বিদায় জানাই। আর এই বিদায় জানানোর মধ্য দিয়েই আমরা নতুন বছরকে বরণ করে নিবো।
প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিভাগটি নানা আয়োজন করে থাকে। প্রতিবারের মত এবারও আয়োজনে থাকছে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে থাকছে রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, আধুনিক-বাংলা গানে, পুথি পাঠসহ বিভিন্ন আয়োজন। এছাড়াও থাকছে ‘সেইফ ওয়াটার, সেইফ আর্থ’ শীর্ষক মুখাভিনয়, বৈশাখ উপলক্ষে র‌্যালি ও খই, মুড়কির আয়োজন।
উল্যেখ্য, কয়েক বছর আগে শিক্ষকদের উদ্দ্যোগে নৃবিজ্ঞান বিভাগে আনুষ্ঠানিক ভাবে চৈত্রসংক্রান্তি পালন হয়ে আসছে। আগামী ৩০ চৈত্র, ১৪২৫-এ অনুষ্ঠানের ১০ বছর পূর্ণ হবে। এদিন নানা আয়োজনের পাশাপাশি বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিক ভাবে বরণ করে নেয়া হবে।





একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages