সড়ক দূর্ঘটনায় পা হারানো নিপার কৃত্রিম পা সংযোজন করতে বিদেশ নেয়ার প্রয়োজন। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday 20 April 2019

সড়ক দূর্ঘটনায় পা হারানো নিপার কৃত্রিম পা সংযোজন করতে বিদেশ নেয়ার প্রয়োজন। একুশে মিডিয়া


জাহিরুল ইসলাম মিলন, যশোর:>>>
ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে যশোরের শার্শার নাভারণে সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারানো মেধাবী স্কুলছাত্রী মিফতাহুল জান্নাত নিপা। সর্বশেষ গত ৯ এপ্রিল যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিপার ডান হাত ও বাম পায়ের গোড়ালি সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালের অর্থো সার্জারি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, ‘নিপার বর্তমান অবস্থা উন্নতির দিকে। তার ক্ষতগুলো শুকাতে শুরু করেছে এবং ডান হাত ও বাম পায়ের সফল অপারেশন হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আগের মত কৃত্রিম পা দিয়ে চলাফেরা করতে পারবে।’
অপরদিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, ‘নিপার যাবতীয় খরচ হাসপাতাল ও জেলা প্রশাসক বহন করছেন। এ বাদেও রোগীর স্বজনদের কাছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন সহযোগিতা করেছে। যা নিপার ওষুধের জন্য খরচ করেছেন। তিনি আরও বলেন, নিপার কৃত্রিম পা লাগানোর জন্য বিদেশে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। এর যাবতীয় খরচ জেলা প্রশাসক ও কিছু টাকা স্বাজনরা বহন করবেন। ইতিমধ্যে মেয়ে ও তার পিতামাতার পাসপোর্ট করতে দেয়া হয়েছে। পাসপোর্ট হাতে পেলে এবং নিপা আর একটু সুস্থ হয়ে উঠলে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হবে। তখন পরিবারের সদস্যরা তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নতমানের কৃত্রিম পা তার ডান পায়ের হাঁটুতে সংযোজন করতে পারবে। এরপরে কৃত্রিম পা নিয়ে নিপা আবার জীবন যুদ্ধে নামতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করছি।’
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ স্কুলে যাওয়ার পথে পল্লী বিদ্যুতের একটি পিকআপ গাড়ির চাপায় গুরুতর আহত হয় নিপা। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা তার ডান পা রক্ষা করতে না পেরে কেটে ফেলতে বাধ্য হন। বিষয়টি নিয়ে গত ৮এপ্রিল দৈনিক সমাজের কথা প্রত্রিকার প্রথম পাতায় তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর নিপার উন্নত চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়ালসহ বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।নিপা শার্শার দক্ষিণ বুরুজবাগান গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও মাতা মুসলিমা বেগমের একমাত্র মেয়ে ও বুরুজবাগান পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্রী।
নিপার পিতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তার মেয়ে এখন আগের তুলনায় আনেক ভালো। এখন সে উঠে নিজের বাথরুম করতে পারে। ডান হাত ও বাম পায়ের সফল অপারেশন এখানেই করেছেন চিকিৎসকরা। এখন কৃত্রিম ডান পা লাগানোর কথা ভাবা হচ্ছে। সেজন্য জেলা প্রশাসক সহযোগিতা করছেন। পাসপোর্ট হাতে পেলে বিদেশে নিয়ে উন্নত প্রক্রিয়ায় নিপার কৃত্রিম পা সংযোজন করা হবে। এতে যা খরচ হবে সেই টাকাও জেলা প্রশাসন থেকে দিবেন বলে জানিয়েছেন।




একুশে মিডিয়া/এমএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages