বেনাপোল বন্দরে চাঁদা নিয়ে অসন্তোষ। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday 30 April 2019

বেনাপোল বন্দরে চাঁদা নিয়ে অসন্তোষ। একুশে মিডিয়া


জাহিরুল ইসলাম মিলন:>>>
যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসের চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে বন্দরে অসন্তোষ বিরাজ করছে।এ্যাসোসিয়েশনের একক সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কাস্টম হাউসের চাঁদা আদায়ের ঘটনায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। চাঁদা আদায় নিয়ে কাস্টমস ও সিএন্ডএফ এজেন্টদের মধ্যে শুরু হয়েছে টানাপড়েন, বেড়েছে দ্বন্দ্ব। জোর করে চাপিয়ে দেয়া চাঁদার বোঝা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত এ্যাসোসিয়েশন।
জানা গেছে কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী এ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দকে তাদের ক্লাবে প্রতিটি বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে এক'শ টাকা চাঁদা দাবী করে। সাধারন সম্পাদক এমদাদুল হক লতা গঠনতন্ত্র সংশোধন না করে টাকা দিতে পারবেন না জানালে কমিশনার রাগন্বিত হয়ে তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
পরিস্থিতি ঘোলাটে অবস্থা ধারন করলে সিনিয়র সহ সভাপতি টাকা দিতে রাজী হন। এরপর শুরু হয় সাধারন সম্পাদকের উপর নানামুখী হয়রানি। তাঁর লাইসেন্সের বিরুদ্ধে শোকজ জারী, এবং খালাসকৃত মালামাল ছাড়ানোর ব্যাপারে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা। সুযোগ বুঝে এ্যাসোসিয়েশনের অনেকেই হাত মিলাতে থাকে কমিশনারের সাথে। এমদাদুল হক লতা হয়ে পড়ে কোন ঠাসা। এ নিয়ে গত ২৬ এপ্রিল থেকে এ্যাসোসিয়েশন ভবনে জরুরী সভা ডাকা হয়। সভা চলাকালে সদস্যদের বক্তব্য জনৈক সদস্য গোপনে রের্কড করে কাস্টমসে পাচার করলে সাধারন সদস্যদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। 
গোপনে কতিপয় সদস্য আঁতাত করে সদস্যদের অনুমতি ছাড়া কাস্টমসকে ৫০ টাকা চাঁদা দিতে রাজি হওয়ায় পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে বলে দাবী করেন আলী হোসেন নামে একজন সদস্য। তিনি সাধারন সম্পাদকের নামে জারিকৃত শোকজ তুলে নিয়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পন্য খালাস প্রক্রিয়া চালু রাখার দাবি জানান। 
এদিকে রবিবার (২৮ এপ্রিল) থেকে চাঁদা আদায় প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে বলে জানান একজন প্রবিন সদস্য। তিনি বলেন ৫০ টাকা হারে বিল অব এন্ট্রি প্রতি চাঁদা দেয়া হলে বছরে প্রায় ৪০ লাখ টাকা কাস্টমস আদায় করবে। বেনাপোল কাস্টমসের চাঁদা আদায়ে কমিশনারের বাড়াবাড়িকে দায়ী করে অসন্তোষ্ট প্রকাশ করেছেন চট্রগ্রাম ও ঢাকার ব্যবসায়ীরা। চট্রগ্রাম ৫ টাকা এবং ঢাকা ১০ টাকা করে চাঁদা দিচ্ছে বলে তিনি জানান। 
এ ব্যাপারে কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরী বলেন, এ্যাসোসিয়েশন ব্যবসায়ীদের ফেয়ার ওয়েল দেয়ার জন্য প্রতিটি বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে ১ শত ৮০ টাকা আদায় করছে। এ্যাসোসিয়েশনের কাছে কাস্টম কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ফেয়ার ওয়েল বাবদ এ টাকা থেকে ১ শত দাবী করা হয়। পরে এ্যাসোসিয়েশন রেজুলেশনের করে প্রতিটি বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে ৫০ টাকা করে দিচ্ছে। এ ঘটনায় কোন ব্যবসায়ীর লাইসেন্সের বিরুদ্ধে শোকজ জারী করা হয়নি।




একুশে মিডিয়া/এমএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages