রংপুরে আম চাষিদের বাগানে বৈশাখী ঝড়। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Monday 1 April 2019

রংপুরে আম চাষিদের বাগানে বৈশাখী ঝড়। একুশে মিডিয়া


রেখা মনি, রংপুর:>>>
রংপুরে বৈশাখী ঝড়ে ও শিলা বৃষ্টিতে আম চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে হাঁড়িভাঙ্গা আমের মুকুল ও গুটি ঝরে পড়ার সাথে ভেঙ্গে পড়েছে গাছও। এমন ক্ষতিতে দিশেহারা হয়ে উঠেছে হাঁড়িভাঙ্গা নির্ভর আম চাষিরা।
গতকাল রাতে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো রংপুরেও ঘূর্ণিঝড় এবং বৃষ্টিপাত হয়। এতে মুকুলে শোভিত আম গাছগুলো থেকে ঝরে পড়েছে বেশির ভাগ মুকুল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাঁড়িভাঙ্গা আমের জন্য প্রসিদ্ধ রংপুরের মিঠাপুকুরের খোড়াগাছ, ময়েনপুর, রানিপুকুর, বালুয়া মাসিমপুর, ছড়ান, বড়বালা, লতিবপুর, রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুষ্করনী, বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর, গোপালপুর, লোহানীপাড়াসহ বেশ কিছু এলাকার আম চাষিদের বাগান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, এবার রংপুরে হাঁড়িভাঙ্গা আমগাছগুলোয় রেকর্ড পরিমাণ মুকুল এসেছিল। বেশি আম উৎপাদনের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু বৈশাখী ঝড় সেই সম্ভাবনায় আঘাত হেনেছে। বেশির ভাগ চাষির বাগানে মুকুল ঝরে গেছে। কোথাও কোথাও গাছ উপড়ে পড়েছে।
সদ্যপুষ্করণী ইউনিয়নের নয়াপুকুর এলাকার সাগর মন্ডল, মিলন মিয়া, রবিউল ইসলাম জানান, এক রাতের ঝড়েই তাদের বসত ভিটার আমগুলোর মুকুল পড়েছে। সামান্য কিছু মুকুল এখন গাছে আছে, তবে এগুলো ঠিকে সম্ভাবনা নেই। কারণ ঝড় তো আরো হতে পারে।
রংপুর কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে শুধু রংপুর জেলায় বাগান পর্যায়ে প্রায় ১৬ হাজার ১২০ হেক্টর এবং বাসাবাড়ি ও ক্ষুদ্র পরিসরে ৩ হাজার ১১৪ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেক চাষির এবং বাকি অর্ধেক মধ্যস্বত্বভোগী, আড়তদার, ব্যাপারীদের বাগান।
এদিকে বৈশাখী ঝড়ের ফলে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আম চাষিরা। খোড়াগাছা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের তেকানী গ্রামের আম চাষি আমজাদ উদ্দিন পাইকার জানান, আল্লাহ্ এবার হাঁড়িভাঙ্গা আমের মুকুলের জোয়ার দিয়েছেন। এমন মুকুল অতীতে কখনও আসেনি। আমের মুকুলের পর বোঁটায় আমের গুটি ধরেছে প্রচুর। কিন্তু বৈশাখী ঝড়ে মুকুল ও দানা বাধা গুটির অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন যা আছে তাই নিয়ে আল্লাহ্ ভরসা।
সাধারণ আম চাষিরা কথা বলে জানা গেছে, প্রকিৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও এভাবে প্রতি বছর বাগানের অর্ধেকেরও বেশি আম নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু আমের মুকুল ঝরে যাওয়া কিংবা মুকুলে কম গুটি থাকা, কিংবা পরিণত আমে পচন প্রতিরোধে তাদের তেমন কোন কৌশল জানা নেই।
রংপুর কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সরোয়ারুল হক বলেন, রংপুরে ঐতিহ্যবাহী হাঁড়িভাঙ্গা আমের এবার রেকর্ড পরিমাণ মুকুল ধরেছে। মুকুল থেকে নাকফুল, মোটরদানা ও গুটি বের হচ্ছে। ঘূর্ণি ঝড়ে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার রংপুর অঞ্চলে হাঁড়িভাঙ্গা আমের বাম্পার ফলন হবে, যা উৎপাদনের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।






একুশে মিডিয়া/এমএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages