আসহায় প্রতিবন্ধীদের ভাতার টাকায় ভাগ বসালেন ইউপি চেয়ারম্যান মনি। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Friday 31 May 2019

আসহায় প্রতিবন্ধীদের ভাতার টাকায় ভাগ বসালেন ইউপি চেয়ারম্যান মনি। একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, বিশেষ প্রতিনিধি:>>>
সামাজিক সুরক্ষার আওতায় শেখ হাসিনা সরকার দেশের প্রতিটি গ্রামে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা দিচ্ছে।
সরকারের এই উদ্যোগের কারণে গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত মানুষ উপকৃত হচ্ছে। কিন্তু কলারোয়া উপজেলার ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়নে অসহায় এই তিন শ্রেণির মানুষের ভাতা নিয়ে নয়–ছয় করার অভিযোগ উঠেছে। 
খোদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানে নাম মনিরুল ইসলাম মনি।  ভাতা মঞ্জুর হওয়ার পর সেখান থেকে ভাগ বসান তিনি। টাকা তোলার পর চেয়ারম্যানের লোকজন জনপ্রতি ২শ টাকা করে নিয়ে থাকেন এমনটিই অভিযোগ করেছেন অসহায় ভুক্তভোগীরা। আর এই কাজ করার জন্য দুই জন ব্যক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। তাদের মধ্যে একজন মনি চেয়ারম্যানের খালাতো ভাই হিজলতী গ্রামের রবিউলের ছেলে মিলন, অপর জন নাতুপুর গ্রামের প্রকাশ।
কলারোয়া উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, ৭নং চন্দনপুর ইউনিয়নে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ১শ ৫৩ জন। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভাতা পান এমন অন্তত ৫ জনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। ভাতা তোলার পর ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজনকে টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এবার নয় মাসে বয়স্ক ভাতা  ৪হাজার ৫শ টাকা, প্রতিবন্ধী ভাতা ৬হাজার ৩শ, বিধবা ভাতা ৪হাজার ৫শ করে ভাতা তোলেন। ২৯ মে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি  মিলন ও প্রকাশ দু'জন ব্যক্তি অসহায় ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ২শ করে টাকা নিচ্ছে। কিন্তু সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে তারা টাকা নেওয়া বন্ধ করে দেই। কি জন্য এই টাকা নিচ্ছে মিলনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদেরকে চেয়ানম্যান টাকা নিতে বলেছে তাই নিচ্ছি। আপনারা ক্যামেরা বন্ধ করেন। বৃদ্ধ শামসের আলী সরদার নামে এক বয়স্ক ভাতা প্রাপ্ত ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন আমার কাছ থেকে ২০০টাকা নেওয়া হয়েছে। আমার কাছ থেকে ৫০০ টাকার নোট নিয়ে তারা ৩০০ টাকা ফেরত দেয়।  এছাড়াও নাম প্রকাশে অইচ্ছুক প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতা প্রাপ্তরা অভিযোগ করেন ভাতার টাকা তোলার সাথে সাথে মিলন নামের ছেলেটা আমাদের কাছ থেকে ২শ করে টাকা নিয়ে নেন। এছাড়া নাম প্রকাশে অপর এক প্রতিবন্ধীর অভিভাবক বলেন, ‘ভাতার টাকা পেলে আমি গুনে দেখার আগেই আমার কাছ থেকে ২শ টাকা নিয়ে নেই মিলন আর প্রকাশ।
গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মনি বলেন, ‘এসব টাকা আমারা চেয়ারম্যান, মেম্বররা খাই না। এই টাকা টা গ্রাম পুলিশের জন্য নেওয়া হয়। তারা ভাতার টাকা দেওয়া ও বই বাড়ি বাড়ি দেওয়ার জন্য এই টাকা নিয়ে থাকে। এতে আমার কোন ভাগ নেই। কিন্তু  মিলন তো বললো চেয়ারম্যান বলেছে তাই নিচ্ছি—এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান মনি কিছু সময় চুপ থেকে বলেন হ্যা মিলনকে আমি পাঠিয়েছি। মিলন ইউনিয়ন পরিষদের কোন কর্মচারী কি জানতে চাইনে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন না সে কোন কর্মচারী না, আমি তাকে পাঠিয়েছি টাকা নেওয়ার জন্য।  
কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  আর এম সেলিম শাহনেওয়াজ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি তবে আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।



একুশে মিডিয়া/এমএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages