ফু-ওয়াং ক্লাবে পুলিশের অভিযানে কিছুই মেলেনি, র‌্যাবে অভিযানে অনেক কিছু মিলেছে ! - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday 26 September 2019

ফু-ওয়াং ক্লাবে পুলিশের অভিযানে কিছুই মেলেনি, র‌্যাবে অভিযানে অনেক কিছু মিলেছে !


একুশে মিডিয়া, রিপোর্ট:>>>
পুলিশের অভিযানের দুইদিন পর রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ফু-ওয়াং ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে র‍্যাব। অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে। অথচ এর আগে ক্লাবটিতে অভিযান চালিয়ে শূন্য হাতে ফিরেছিল পুলিশ।=
গত সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ফু-ওয়াং ক্লাবে পুলিশের অভিযান শেষে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ফু-ওয়াং ক্লাবে অবৈধ জুয়া বা ক্যাসিনোর কোনো ধরনের সরঞ্জাম পাওয়া যায়নি।=
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিলো- ফু-ওয়াং ক্লাবে ক্যাসিনো ও অসামাজিক কার্যকলাপ হতে পারে। সেই গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেখানে এ ধরনের কিছু পাইনি। তবে এখানে বার রয়েছে এবং বারের কাগজপত্রও ঠিক রয়েছে। এখানে জুয়ার কোনো আলামত নেই।=
এদিকে বুধবার মধ্যরাতে ক্লাবে প্রবেশ করে র‍্যাব-১ এর সদস্যরা। তাদের অভিযানে ক্লাবটিতে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। এরপর ক্লাবটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।=
র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘সারা রাত ধরে এই অভিযানটি চালানো হয়। সকাল বেলা সব গণনা শেষ করে আমরা এখানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদক পাই, যা তাদের মজুদ বইতে সঠিকভাবে উল্লেখ নেই।=
তিনি বলেন, ‘আমরা ২ হাজার ২শ’র বেশি বিদেশি মদ পাই এবং ১০ হাজারের উপরে বিয়ার পেয়েছি। এখন যে জিনিসটা ইমপোর্টেন্যান্ট, যেকোনো অবৈধ জিনিসের সঙ্গে যদি বৈধ জিনিস থাকে তাহলে পুরো জিনিসটাই কিন্তু অবৈধ হিসেবে গণ্য হয়।=
একই সঙ্গে একটা ট্রেড লাইসেন্সের বিপরীতে কিন্তু একটা সুনির্দিষ্ট পরিমাপ থাকে যে একটা ট্রেড লাইসেন্সে কি পরিমাণ বিয়ার বা মদ থাকবে। সেই পরিমাপের কোনো মাত্রা এখানে ছিল না এবং অধিক মাত্রায় মদ এবং বিয়ার আমরা পেয়েছি।=
ফু-ওয়াং ক্লাব তাদের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে সক্ষম হয়নি উল্লেখ করে সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘এখানে বিদেশি কিছু সিগারেট আছে যেগুলো আমদানি নিষিদ্ধ। এর কোনো বৈধ কাগজপত্র তারা আমাদের দেখাতে পারেনি।=
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে যে কর্মচারীরা আছেন যাদের মাদক বিক্রি করার জন্য লাইসেন্স থাকার কথা ছিল সেগুলো সঠিকভাবে নেই। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রজু করব।=
তিনি আরো বলেন, ‘মামলায় প্রধান আসামি অর্থাৎ এই ক্লাবের যে স্বত্ত্বাধিকার মো. শেখ নুরুল ইসলাম তার ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী আমরা তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করব। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের কবর। যে তিনজন কর্মচারী আছেন ম্যানেজার, বার টেন্ডার তাদের বিরুদ্ধে আমরা মামলা দায়ের করছি। সৈনিক সকালের সময় সূত্র একুশে মিডিয়া রিপোর্ট।=




একুশে মিডিয়া/এমএসএ=

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages