প্রতিবেদক-আল আমিন মুন্সী:>>>
রাজধানীর আদাবর থানার সুনিবীড় এলাকায় গড়ে উঠেছে টর্চার সেল গ্রুপ। দেশে যখন প্রশাসন বিভিন্ন গ্রুপ, সন্ত্রাস ও মাদক নির্মুলে কাজ করে যাচ্ছে ঠিক তখনই তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে তাদের নাকের ডগায় বসে টর্র্চিং ও চাঁদা আদায় করে আসছে একদল চক্র এমনি তথ্য পাওয়া যায় আদাবরের সুনিবীর এলাকা।
গত রবিবার রাতে ঐ এলাকায় মহসিন নামের এক মুদি দোকানদারকে তারা সুনিবীড় এলাকায় একটি ক্লাবে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে প্রথমে ধর্ষনের দোষারোপ করে তার কাছে দু’ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে সে টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে মারধর সহ প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয় এবং কি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার কাছে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা চেয়ে সময় নির্ধারণ করে দেয়।
তখন ঐ মুদি ব্যবসায়ী ভয়ে রাত আনুমানিক ৪টার সময় ত্রিশ হাজার টাকা দেয় এবং পরের দিন বাকি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসে। পিেরর দিন ঐ টাকা পরিশোধ করতে গেলে তা যেনো এলাকার কেউ জানতে না পারে এই বলে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে এলাকার বসবাস কারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, এ এলাকায় ছাত্রলীগের ওয়ার্ড কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক দিপু মোল্লা একটি ক্লাব করেছে ।
যেখানে দিনরাত মাদক সা¤্রাজ্য গড়ে তুলেছে। মাঝে মধ্যে পুলি ওসেখানে গিয়ে তাদের না আটকিয়ে তাদের সাথে আড্ডা দেয়। সাধারণ মানুষদের যখন তখন হয়রানি করে ঐ খানে আটকিয়ে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে সেখানে আটকিয়ে মারধর করা হয় এবং তারা এলাকায় বিভিন্ন সময় মারামারি, সন্ত্রাসী কর্মকা- করে। যা এলাকায় সাধারণ মানুষের মনে সারাক্ষণ তাদের ভয় আতংক তৈরি হতে থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ কর্মী জানান, দিপু মোল্লা বিবাহিত তার একজন সন্তান ও আছে। সে কিভাবে ছাত্রলীগের পদে বহাল থাকে এ নিয়ে আমরা হতাশ।
বিশেষ করে এ ওয়ার্ডের যারা পদধারী ছাত্রলীগ নেতা তাদের অনেকেরই কেউ বিবাহিত, কেউ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত আবার অনেকে কোনদিন স্কুলে যায়নি। এ ব্যাপারে, আদাবর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে এ ব্যাপারে আমার কাছে এই রকম কোন অভিযোগ আসেনি। তবে বিষয়টি জানলে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো।
ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের পদধারী যারা আছেন তারা কেউ অছাত্র নয় এবং কেউ মাদকের সাথে জড়িত নয়।
এ ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক বিবাহিত এ ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন পদ দেওয়া হয়েছে তখন সে অবিবাহিত ছিলো। বিবাহের পরবর্তীতে ছাত্রলীগের কমিটিতে কিভাবে রয়েছে এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আসলে এখনো আমাদের কর্মশালার প্রোগ্রাম হয় নাই। যার জন্য আমরা এখনো পদক্ষেপ নিতে পারিনি। পুলিশের সম্পৃক্ততার ব্যাপারে আদাবর থানার ওসির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ হয়নি।
তবে আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে আমরা অব্যশই ব্যবস্থা নিবো। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আমরা চাই এই এলকাটা যেন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও মাদক থেকে সরকার রক্ষা করে। সরকার যেভাবে দেশের প্রতিটি অবৈধ সা¤্রাজ্যকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই আমরা সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment