কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে ১৭৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday 17 October 2019

কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে ১৭৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি



এম এ হাসান, কুমিল্লা:>>>
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ১৭৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রী শুয়ে বসে ও শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালন করে।কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কর্মবিরতি পালিত হয়েছে ।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৪ অক্টোবর সকাল ১০টা হতে ১২টা, ১৫ অক্টোবর সকাল ১০টা হতে দুপুর ১টা, ১৬ অক্টোবর অর্ধদিবস এবং ১৭ অক্টোবর পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালনের কারণে উপজেলার ১৭৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন ক্লাস হয়নি। ছাত্র-ছাত্রীদের শুয়ে-বসে থাকতে দেখা গেছে।

জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনে সহকারী শিক্ষকদের জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম গ্রেডে ও প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবিতে ১৪টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ডাকে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে ৬ অক্টোবর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ১৪ অক্টোবর থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের নেতারা।
কর্মসূচী সম্পর্কে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি (রেজিঃ নং- এস- ১২০৬৮) চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শাখার সভাপতি ও বাতিসা বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন কাঠামোর সঙ্গে সরকারি অন্য বিভাগের কর্মচারীদের ব্যাপক ব্যবধান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি ও প্রশিক্ষণ নিয়েও প্রধান শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। আর সহকারী শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১৪তম গ্রেডে। ১৬ বছর চাকরির পর প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সহকারী শিক্ষকের বেতন-ভাতার ব্যবধান হবে ২০ হাজার টাকা। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক যে স্কেলে চাকরি শুরু করেন, সহকারী শিক্ষক ও পদোন্নতি প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সে স্কেলেরও একধাপ নিচে চাকরি শেষ করেন, যা চরম বৈষম্যের।
এ কারণে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন স্কেল নির্ধারণ এবং প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদাসহ ১০ম গ্রেডে বেতন স্কেল নির্ধারণের দাবিতে এ কর্মবিরতি পালনে শিক্ষকরা বাধ্য হচ্ছেন।গত ছয় বছর এ দাবি নিয়ে শিক্ষকরা দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। এর অংশ হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাঠিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ে।
কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় তা নাকচ করেছে। তাই শিক্ষকরা বাধ্য হয়ে এই কর্মসূচি পালন করছেন। বেতন বৈষম্য নিরসন না হলে শিক্ষকরা ২৩ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবেন এবং মহাসমাবেশ থেকে আরো কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিবেন।




একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages