পত্রিকা ছাপা মাত্র ৫ হাজার, সুবিধা নেওয়ার জন্য সরকারকে দেখায় দেড় লাখ!: তথ্যমন্ত্রী - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday 7 November 2019

পত্রিকা ছাপা মাত্র ৫ হাজার, সুবিধা নেওয়ার জন্য সরকারকে দেখায় দেড় লাখ!: তথ্যমন্ত্রী


একুশে মিডিয়া, বিশেষ প্রতিবেদক-ঢাকা:>>> 
পত্রিকার প্রচার সংখ্যা বেশি দেখিয়ে অতিরিক্ত সুবিধা নেওয়ার প্রবণতা বন্ধে নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “মন্ত্রী হয়ে আমি দেখেছি, এমনো পত্রিকা আছে যার সার্কুলেশন ঢাকায় এক হাজার, সারাদেশে পাঁচ হাজার, অথচ সুবিধা নেয়ার জন্য ঘোষণা দেয় দেড় লাখ। ”এ ধরনের পত্রিকাগুলো সুবিধা নেওয়ার জন্য সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রচার সংখ্যার এক রকম তথ্য দিলেও কর ফাঁকি দিতে ‘ট্যাক্স অফিসে’ আরেক তথ্য দেয় বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সরকারি দুই দপ্তরে দুই হিসাব চলবে না। তাদের নজরদারি ও শৃঙ্খলায় আনা হবে। ”ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন তথ্যমন্ত্রী।
সেখানে সংবাদপত্র ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের জন্য ঘোষিত নতুন বেতন কাঠামোর (নবম ওয়েজ বোর্ড) বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে প্রচার সংখ্যায় অনিয়মের কথা তিনি বলেন। দুই বছর আগে এক অনুসন্ধানে দেখা যায়, নাম না জানা অনেক পত্রিকার প্রচার সংখ্যা সরকারি হিসাবে কয়েক লাখ পর্যন্ত দেখানো হয়েছে।
শুল্ক ছাড়ের কাগজপ্রাপ্তি ও সরকারি বিজ্ঞাপনসহ নানা ধরনের সুবিধা নিতে ওই সব পত্রিকার মালিকরা সরকারি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এটা করছেন বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ।তথ্যমন্ত্রী বলেন, “নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন হলে সাংবাদিকরা অনেক উপকৃত হত। তবে মালিকরা অনেকেই এটা করছে না। ডিএফপি থেকে রেট কার্ড নেয়।”সরকার সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সময় এর দর বা ‘রেট’ নির্ভর করে পত্রিকার প্রচার সংখ্যা বা সার্কুলেশনের ওপর। ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করা হয়েছে কি না, সেটাও এক্ষেত্রে দেখা হয়।
তাই অনেক পত্রিকা বিজ্ঞাপন ও ভালো ‘রেট’ পাওয়ার জন্য ছাপার সংখ্যা বাড়িয়ে দেখায় এবং ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়। কিন্তু তাদের ঘোষণার সঙ্গে বাস্তবতার মিল থাকে না বলে অভিযোগ রয়েছে। বন্ড সুবিধার আওতায় রপ্তানির জন্য কাঁচামাল আমদানি করে যারা তা খোলা বাজারে বিক্রি করছে, তাদের বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশের আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ।
তথ্যমন্ত্রী আরোও বলেন, এক সময় বেসরকারি বন্ডেড ওয়্যারহাউজের অনুমোদন না থাকলেও সরকার এখন সেই সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু তাদের পণ্যও খোলা বাজারে চলে আসতে দেখা যায়, যার ফলে সরকার রাজস্ব হারায়।“যেখানে যেখানে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, আপনারা সেক্টর ধরে ধরে রিপোর্ট করেন। তাহলে আমাদের সমস্যাগুলো ফিগার আউট করতে সুবিধা হবে।
অন্যদের মধ্যে ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার, সহ-সভাপতি মিজান মালিক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।




একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages