![]() |
প্রতিবেদক-আল আমিন মুন্সী:>>>
নরসিংদীর পলাশে চুরির অপবাদ দিয়ে আ. আহাদ খান (৬৬) নামে এক বৃদ্ধকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার পর থেকে আসামিদের ভয়ে এলাকা ছাড়া ওই বৃদ্ধাসহ তার স্ত্রী।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের ৬ নং ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম ও তার ছেলে সোহাগ মিয়া, দিপু মিয়াসহ ১৪ জন।
জানা যায়, সম্প্রতি চরসিন্দুর ইউনিয়নের মালিতা গ্রামে ট্রলির ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে ৬৬ বছরের বৃদ্ধ আহাদ খানকে বিকাল ৪ থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত অমানবিক নির্যাতন চালায় স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ অভিযুক্তরা।
এসময় স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে মারধরের শিকার হতে হয় স্ত্রী শিরিন বেগমকেও। একপর্যায়ে গ্রামবাসী জড়ো হতে থাকলে অচেতন অবস্থায় ওই দম্পত্তিকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায় অভিযুক্তরা। পরে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ওই দম্পত্তিকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শিরিন বেগম বাদি হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ ১৪ জনকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। এরপর থেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত ওই বৃদ্ধা দম্পত্তিকে প্রাণ-নাশের হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তরা। এমনকি ওই দম্পত্তিকে নিজের বাড়িঘরেও থাকতে দিচ্ছে না ।
ভুক্তভোগি শিরিন বেগম জানান, আমরা নিঃসন্তান থাকায় প্রতিবেশি আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কাশেম দীর্ঘদিন যাবত অল্প দামে আমার বসতবিটা ওনার কাছে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।
জমি বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় তারা আমার নিরাপরাধ স্বামীকে চোর সাজিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে আমাদেরকে গ্রাম ছাড়া করে। এ বিষয়ে মামলা করেও কোনো বিচার পাচ্ছি না। আসামীদের হুমকির কারণে নিজের বাড়িতেও থাকতে পারছিনা।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বলেন, ঘটনার দিন এলাকাবাসী চোর সন্দেহে ওই বৃদ্ধকে আটক করে খবর দিলে তাকে হালকা বিচার করে ছেড়ে দেওয়া হয়। পূর্ব শত্রæতায় জের ধরে চুরির অপবাদের বিষয়টি আমার জানা ছিল না।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (পিবিআই) সুজন কুমার দাস জানান, প্রাথমকি তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এছাড়া ঘটনার সময় নির্যাতনের ভিডিও চিত্রও পাওয়া গেছে। দ্রæত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment