ভোলার গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু! স্বামীসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Saturday 4 January 2020

ভোলার গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু! স্বামীসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা



মোঃ আরিয়ান আরিফ, ভোলা:>>>
ভোলার সদর উপজেলায় গৃহবধূ লাইজু আক্তারকে (১৮) যৌতুকের দায়ে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ এনে স্বামী তানজিল হোসেনসহ শ্বশুর বাড়ির সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে নিহতের বড় ভাই ইসমাইল শিকদার এ মামলা করেন।
আসামিরা হলেন- নিহত লাইজুর স্বামী তানজিল, শ্বশুর তরিকুল ইসলাম, শাশুড়ি হাসিনা, ননদ তানিয়া ও মিতু, ভাসুর তানভির ও তার স্ত্রী।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোফাজ্জল হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে লাইজুর শ্বশুর বাড়ির কাজের মহিলা ময়ফুল বেগমের কাছ থেকে জানা যায়, বিয়ের পর থেকে লাইজুকে বিভিন্ন সময় পরিবারের সদস্যরা মারধর করতেন। ঘটনার দিনও লাইজুকে তারা মারধর করেন। তবে মারধরের কারণে লাইজু মারা গেছেন কি না সেটা সে জানে না। লাইজুর লাশ রুমে কম্বল পেঁচিয়ে রেখে সবাই পালিয়ে যায়। ওই সময় ময়ফুল বেগম জানত না যে, লাইজু মারা গেছেন।
তদন্ত কর্মকর্তা আরো জানান, লাইজু কীভাবে মারা গেছে এটি এখন আমরা নিশ্চিত হতে পারেনি। এ ঘটনায় গভীরভাবে তদন্ত করছি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে আসল ঘটনা জানা যাবে।
বাদী ইসমাইল শিকদার জানান, আড়াই বছর আগে লাইজুর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তানজিলের। বিষয়টি লাইজু আমাদের বললে আমরা তানজিল ও তার পরিবার সম্পর্কে খোঁজ নেই। ওই সময় আমরা জানতে পারি তানজিল মাদকাসক্ত। এজন্য আমরা বিয়েতে রাজি হইনি। দুই বছর আগে তারা পরিবারের অমতে বিয়ে করে। বিয়ের পর লাইজুকে তানজিল তাদের বাড়ি নিয়ে যায়। আমরা বোনের শান্তির কথা চিন্তা করে বিয়ে মেনে নেই। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই তানজিল ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকসহ বিভিন্ন কারণে লাইজুকে মারধর করত। লাইজু আমাদের জানালে তাকে আমাদের বাড়ি নিয়ে আসি। গত চার-পাঁচ মাস আগে লাইজু তানজিলকে তালাক দেয়।
তিনি আরো জানান, তালাকের কিছুদিন পর তানজিল আবার লাইজুর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ শুরু করে। এ পর্যায়ে লাইজুকে বিভিন্ন রকম মিথ্যা আশ^াস দিয়ে আবার আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করে তানজিলের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে আমরা লাইজুর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেই। বিয়ের কয়েক দিন পর থেকে আবার জানতে পারি, লাইজুকে আবারও নির্যাতন শুরু করে তানজিল ও তার পরিবার। লাইজুকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন ইসমাইল। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, গৃহবধূ লাইজু মারা যাওয়ার পর আসামিরা পালিয়েছে। আমরা গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের তুলুতালি এলাকার তরিকুল ইসলামের ঘর থেকে লাইজু আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।




একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages