আহত বড়খাতা ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য মাজেদা বেগম। ছবি: একুশে মিডিয়া।
|
কাজী শাহ্ আলম, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পুলিশের মারধরে নারী ইউ-পি সদস্যসহ ৭ জন গ্রামবাসী আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গ্রামবাসীকে আটক করে মধ্য রাতে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
জানাগেছে,উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী গ্রামে সফিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তির সাথে জমির সীমানায় দেয়াল নির্মাণ নিয়ে মসজিদ কমিটির দ্ব›দ্ব চলছে। বড়খাতা ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য মাজেদা বেগম, স্থানীয় গ্রামবাসী মারুফা বেগম ও কলেজ ছাত্রী শারমিন বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহফুজ রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ উক্ত ঘটনা তদন্ত করতে গেলে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে তাদের তর্ক হয়।
পুলিশ কর্তৃক বাড়িঘর ভাংচুর এর একাংশ্য দৃশ্য। |
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা থানা থেকে ৫০/৬০ জন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীর উপর হামলা চালায় এবং বাড়িঘর ভাংচুর করেন। এতে নারী সদস্য মাজেদা বেগমসহ ৭ জন গ্রামবাসী পুলিশের হামলায় আহত হয়েছে। এ সময় কয়েকজন গ্রাম বাসীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় পুলিশ ৫ জন গ্রামবাসীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসলেও পরে মধ্য রাতে তাদের ছেড়ে দেয়।
বড়খাতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গেলে লোকজন অভিযোগ করেন, পুলিশ তাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে তাদেরকে মারধর করেছেন। এতে নারী ইউ-পি সদস্য মাজেদা বেগমসহ কয়েকজন আহত হয়েছে।
ঘটনার পর পরেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নজীর হোসেন বলেন, জমির সীমানা দিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পুলিশ হামলা করেনি বরং পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে মাত্র। গ্রামবাসীকে আটকের পর ছেড়ে দিলেন কেন ? এমন পশ্নে তিনি বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমঝোতায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment