একুশে মিডিয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, খাদ্যগুদাম থেকে মাছিমপুর পর্যন্ত ওই সড়কের কাঁচা অংশে ঢালাইয়ের কাজ শুরু হওয়ার প্রারম্ভে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. গেদু মিয়া রাতের আঁধারে শ্রমিক দিয়ে ওই সড়কের ইট সলিংয়ের প্রায় ৩ হাজার ইট উঠিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। এ বিষয়টি জানাজানি হলে আজ রবিবার (১৭ মে) উপজেলা এলজিইডি অফিসের সহকারী প্রকৌশলী কর্মকর্তা সাদিরুল ইসলাম সরকারি রাস্তার ইট এনে পুনরায় রাস্তায় ফেলার নির্দেশ দেন।
উপজেলা সদরের পশ্চিম মাছিমপুর গ্রামের ফকির আলী বলেন, ইউপি সদস্য গেদু মিয়া রাতের আঁধারে রাস্তার ইট উঠিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। ইট সলিংয়ের ইট তুলে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি উল্টো আমাদের ধমক দেন এবং এই কাজের কন্ট্রাক্ট তিনি পেয়েছেন বলে জানান।
স্থানীয়রা আরও জানান, ইউপি সদস্য গেদু মিয়া উপজেলা সদরের বাজিতপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিকটবর্তী খাদ্যগুদাম সড়কের সুরমা নদীর ভাঙনে ব্লক ও পাকাকরণে নিম্নমানের কাজ করায় কিছুদিনের মধ্যে তা ভেঙে দেবে গেছে। অথচ কাজের শুরুতেই নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো প্রতিকার হয়নি। ফলে কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারও রাস্তা ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে। এখন তিনি একই সড়কের খাদ্যগুদাম সংলগ্ন মাছিমপুর গ্রামের সড়কের কাঁচা অংশের ঢালাই কাজের শুরুতেই ইট সলিংয়ের সরকারি ইট তুলে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য গেদু মিয়া বলেন, কিছু ইট রাস্তা থেকে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলাম। এলজিইডি অফিসের সহকারী প্রকৌশলী সাদিরুল ইসলাম ওই ইট এনে পুনরায় রাস্তায় ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। আমি ইট এনে রাস্তায় দিয়ে দেব।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা এলজিইডি অফিসের সহকারী প্রকৌশলী সাদিরুল ইসলাম বলেন, ইউপি সদস্য রাস্তার ইট সলিংয়ের কিছু ইট উঠিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছেন বলে স্বীকার করলে অতিসত্বর সরকারি রাস্তার ইট রাস্তায় এনে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি। নতুবা রাস্তা ঢালাইয়ের কাজের কোনো বিল দেওয়া হবে না বলেও তাকে সাফ জানিয়ে দিয়েছি। ওই ইউপি সদস্য সাব-কন্ট্রাক্টর হিসেবে খাদ্যগুদাম-মাছিমপুর গ্রামের রাস্তার কাঁচা অংশের পাকাকরণ কাজ করছেন।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment