একুশে মিডিয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
প্রতারণার মাধ্যমে নগদ ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাত অভিযোগের মামলায় বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরি ইউনিয়নের নয়াহাটি গ্রামের জুয়েল।বালিজুরি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান তাহিরপুর থানায় এ আত্মসাত মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিবরণ সুত্রে জানাগেছে, বালিজুরি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের নিকট থেকে একই গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জুয়েল বালি পাথর ব্যাবসার কথা বলে মোট ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।সমুদয় ৩০ লক্ষ টাকা বিভিন্ন সময়ে চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সোনালী ব্যাংক তাহিরপুর শাখার ব্যাক্তিগত একাউন্ট থেকে উত্তোলন করে জুয়েল মিয়া।
চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের নিকট থেকে ব্যাবসার জন্য ৩০ লক্ষ টাকা ও বালি পাথর ব্যাবসার ৬০ পার্সেন্ট লভ্যাংশর বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ৩শত টাকার স্টাম্পে লিখিত অঙ্গীকারনামা প্রদান করে অভিযুক্ত আত্মসাৎকারী জুয়েল।
এক বছর সময় পেরিয়ে গেলে অভিযুক্ত জুয়েল মিয়া বালি পাথর ব্যাবসার হিসাব সহ নগদ ৩০ লক্ষ টাকা নেয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে থাকে। জুয়েলের এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয় গণমান্য ব্যাক্তিকে অবগত করেন সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান। পরে স্থানীয় সমাজ অভিযুক্ত জুয়েলকে নিয়ে সালিশ বৈঠকে বসলে চেয়ারম্যানের নিকট থেকে ৩০ লক্ষ টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বালি পাথর ব্যাবসার লভ্যাংশ সহ সমূদয় টাকা পরিশোধের জন্য কিছুদিন সময় চেয়ে উপস্থিত সালিশকারীদের সম্মুখে লিখিত দেয় জুয়েল।সালিশ বৈঠকে লিখিত দেয়ার পর অভিযুক্ত আত্মসাৎকারী জুয়েল আত্মগোপনে চলে যায়।
চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান, আমি বালিজুরি ইউনিয়ন পরিষদের ৩ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি। আমাকে রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা করার লক্ষ্য সু কৌশলে আমার টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। সেই সাথে টাকা আত্মসাতকে কেন্দ্র করে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে একটি সুবিধাবাদী চক্র।
এ বিষয়ে বালিজুরি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তুষা মিয়া বলেন, চেয়ারম্যানের বিশ্বস্ত লোক ছিল জুয়েল। কিন্তু সে বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে টাকা আত্মসাত করেছে। সেই সাথে বালি পাথর ব্যাবসার টাকাকে সুদের টাকা হিসেবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আতিকুর রহমান জানান, প্রতারণা ও টাকা আত্মসাতের মামলায় জুয়েলকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment