পলাশবাড়ীতে পাকারাস্তার ইট, খোয়া, পাথর সরেগিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।। এসব দেখবে কে? - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday 23 June 2020

পলাশবাড়ীতে পাকারাস্তার ইট, খোয়া, পাথর সরেগিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।। এসব দেখবে কে?

একুশে মিডিয়া, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
পলাশবাড়ী দক্ষিণবন্দর থেকে সরকারী কলেজমোড় পযন্ত রাস্তাটি  অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে পাকাকরন করায় রাস্তাটির দুই সাইড দেবে গিয়ে কাপেটিং উঠে গিয়ে পাথর ও খোয়া সরে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
জানাযায়, পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী তাহাজ্জদ হোসেন এ উপজেলায় যোগদানের পরের সপ্তাহে সম্ভাবত ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে গাইবান্ধার এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ রাস্তার কাজ করেন।
সে সময় অত্যান্ত নিম্নমানের খোয়া রাস্তায় ফেলানোর কারণে এলাকাবাসী রাস্তাটির কাজ বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে ঠিকাদার ও উপজেলা প্রকৌশলী ম্যানেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাস্তাটির নিম্নমানের কাজ করে চলে যান।
যে কারণে পলাশবাড়ী দক্ষিণবন্দর বগুড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে সরকারী কলেজ মোড় পযন্ত রাস্তাটির বর্তমানে বেহাল দশা। এ রাস্তা দিয়ে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করা খুবই টাফ ব্যাপার। তবুও পৌরসভার বাইপাস এ রাস্তা দিয়ে দুর্ঘটনা হবে জেনেও বিভিন্ন যানবাহন ও পথচারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
সে সময় উপজেলা প্রকৌশলীকে সাংবাদিকরা নিম্মমানের কাজের কথা বার বার বলা সত্তেও সে সময় তিনি কোন কর্ণপাত না করে ঠিকাদারের পক্ষনিয়ে নিম্মমানের কাজের সুপারিশ করেছেন। যে কারণে রাস্তাটির কাপেটিংয়ের দেড় বছর যেতে না যেতেই তা সাইডের ইট, খোয়া, পাথর খসে পড়ে গিয়ে খানাখন্দ হয়ে  চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এরপর উপজেলা প্রকৌশলী পুনরায় ২০১৯ - ২০২০ অর্থবছরে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য আবেদন করলে রাস্তাটির কাজ পুনরায় গাইবান্ধার আর এক ঠিকাদার কাজ পায়। তিনি করোনা ভাইরাস শুরুর আগে নুনিয়াগাড়ী মসজিদের সামনে পুকুর পাড়ে নিম্মমানের ইট বালু পরিমানে কম দিয়ে গাইড ওয়াল তৈরি করেন। যেখানে রড যা দেওয়ার কথা ছিল তা দেওয়া হয় নাই।
রাস্তার দুই সাইড দিয়ে ইট লম্বা করে দেওয়ার কথা থাকলেও তা মাঝে মাঝে দেওয়া হয়েছে সেগুলোও ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ে গেছে। পুকুর পাড়ে গাইড ওয়ালের ফাঁকটা সামান্য দুই টলি বালু ফেলে রাখা হয়ে অর্ধেক অংশ এখনও ফাকাই রয়েছে।রাস্তাটি দেবে যাওয়ার কারণে রাস্তার উপর বৃস্টির পানি ঢেউ খেলে।
রাস্তাটি  খোয়া ফেলে উচু করার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
শুধু এ রাস্তাটি নয় উপজেলা প্রকৌশলী তাহাজ্জদ হোসেন এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে যতগুলো রাস্তা পাকাকরণ করা হয়েছে সবগুলো রাস্তাই দেবে গিয়ে ভিতর দিয়ে ফেঁটে গেছে। পাথর ও খোয়া উঠে গিয়ে খানাখন্দে রুপান্তিরিত হয়েছে।
গত দুইমাস আগে নাকাইহাট সড়ক থেকে তালুকজামিরা বাজার পযন্ত রাস্তাটি কাপেটিং করার পর রাস্তাটির ভিতর দিয়ে ফেঁটে চৌচির হচ্ছে। দুই পাশ দেবে যাচ্ছে।
অপরদিকে, পলাশবাড়ী থেকে ফকিরহাট হয়ে গোডাউন বাজার পযন্ত রাস্তাটি গতবছর কাপেটিং করা হয়েছে। বর্তমানে রাস্তাটির প্রায় জায়গাই দেবে গিয়ে ভেঙ্গে গেছে রাস্তার ভিতর দিয়ে বড় বড় ফাঁটলের সৃস্টি হয়েছে।






একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages