চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী জহির আহমদ হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী মো. ইলিয়াছ ও মো. শাহেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১ জুন) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাটহাজারী উপজেলার কাটিরহাট এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামী মো. ইলিয়াছকে গ্রেপ্তার করা হয়। একইদিন রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় মামলার অপর আসামী মো. শাহেদকে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামী পরস্পর সহোদর ভাই। তাদের স্বীকারোক্তি মতে তাদের নিজ বাড়ি সংলগ্ন মাড়াইকৃত শুকনো ধান গাছের স্তুপ থেকে ১টি দেশীয় তৈরী এলজি, ২ রাউন্ড গুলি ও ১টি ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওইদিন সকালে সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুনাগরী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আশংকাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নেয়ার পথে সাধনপুর ও কালীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ভাসাইন্যার দোকান এলাকায় পৌছামাত্র এ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে সন্ত্রাসীরা পুনরায় তাকে ছুরিকাঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে।
এ ঘটনায় নিহত ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী জহির আহমদের স্ত্রী নুর আয়শা বাদী হয়ে পরদিন অর্থাৎ ১৩ মে মোহাম্মদ ইলিয়াছকে প্রধান অভিযুক্ত করে মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার ২০ দিন পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী মো. ইলিয়াছ ও মো. শাহেদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় থানা পুলিশ। পরবর্তীতে আসামীদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আসামীদের নিজ বাড়ী সংলগ্ন মাড়াইকৃত শুকনো ধান গাছের স্তুপ থেকে ১টি দেশীয় তৈরী এলজি, ২ রাউন্ড গুলি ও ১টি ছোরা উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী জহির আহমদ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামীসহ ২ আসামীকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। এ মামলার অপরাপর আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment