১। মােহাম্মদ আলী, পিতা- ছাবের আহমদ
২। বেদার আহমদ, পিতা, ঐ । ৩।বুলবুল আক্তার, পিতা- ঐ, স্বামী- মোঃ বেকন উদ্দিন ছিদ্দিকী ৪। লায়লা বেগম, স্বামী- ছাবের আহমদ, সর্ব সাং- শীলকূপ- ৩নং ওয়ার্ড, থানা- বাঁশখালী, জেলা- চট্টগ্রাম। ............ বিবাদীগণ।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি বাদী আপনার বরাবরে হাজির হইয়া উল্লেখিত বিবাদীগণের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযােগ করিতেছি যে, উল্লেখিত ৩নং বিবাদী আমার বিবাহিত স্ত্রী। ১-২নং বিবাদী ৩নং বিবাদীর ভাই এবং ৪নং বিবাদী ৩নং বিবাদীর মা হয়। বিগত ৩১/০৫/২০১০ ইং তারিখে পবিত্র ইসলামী শরার বিধানমতে আমি ৩নং বিবাদী বুলবুল আক্তারকে কাবিননামা বেজিটি পূর্বত বিবাহ করি। আমাদের দাম্পত্য জীবনে ২টি পুত্র ও ১টি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে বর্তমানে আছে। আমার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য আমি মাতা-পিতার নিকট থেকে পৃথক হয়ে বাঁশখালী পৌরসভা সদরে এসে আমার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়া পৃথকান্নে বসবাস করিতে থাকি। আমি একজন ব্যবসায়ী। আমার যাবতীয় টাকা পয়সা আমার স্ত্রীর হেফাজতে থাকে। ইতিমধ্যে আমি আমার স্ত্রীর নামে কিছু জায়গাও খরিদ করিয়া দিই। তাছাড়া আমার নামে আমমােক্তার নাম মূলে
পাওয়া দেওয়া জায়গা আমার স্ত্রীর নামে দলিল করে দিই। আমার স্ত্রীর তাই ১নং বিবাগী একজন লোভী ও কুচক্রী লােক হয়। সে ইতিপূর্বে নিজে এবং তার মা ৪নং বিবাদীকে বাদী করে তার স্ত্রীসহ বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে ডজনখানেক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। তার কারণে তাদের আত্মীয়স্বজন সকলে বিভিন্ন মামলায় জড়িত। ১নং বিবাদী এবং ৪নং বিবাদী এলাকায় মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত। তাদের সাথে প্রতিবেশীদের সুসম্পর্ক নাই। অামার স্ত্রী ৩নং বিবাদীর নামে কিছু জায়গা দলিল করে দিয়েছি মর্মে এবং আমার লবণ ব্যবসায়ের যাবতীয় টাকা পয়সা আমার স্ত্রীর হাতে জানতে পেরে সে আমান টাকা পয়সা ও সহায় সম্পত্তি আত্মসাতের যড়যন্ত্রে লিপ্ত হইয়া আমার সংসার ভাঙার ষড়যন্ত্র করিয়া আসিতেছে। ১ ও ৪নং বিবাদী আমার স্ত্রীকে
প্ররােচনা দিয়া আমার সহায় সম্পত্তি, টাকা পয়সা আত্মসাতের ষড়যন্ত্রের লিপ্ত হয়। বিগত ১০/০৫/২০১০ ইং তারিখে আমি আমার স্ত্রী ৩নং বিবাদীর নিকট নগদ ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা আমানত রাখি। আমি আমার প্রয়ােজনে উক্ত টাকা চাহিলে সে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলিয়া উক্ত টাকা তার ভাই ১নং বিবাদীর নিকট দিয়েছে মর্মে জানাইয়া ২ দিন পরে টাকা আনিয়া দেওয়ার কথা
বলে বিগত ১৫/০৬/২০২০ ইং তারিখে আমি আমার মূল বাড়ী ছনুয়া খুদুকখালী | গ্রামে জায়গা জমি তদারকির জন্য গেলে বিবাদীগণ পরস্পর যােগাযােগের
মাধ্যমে সকাল অনুমান ১০:০০ ঘটিকার সময় ১,২ ও ৪নং বিবাদীগণ আমার | জলদীসহ বাড়ীতে গিয়া আমার ঘরে থাকা নগদ ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা আমার জায়গা জমির যাবতীয় দলিলপত্র, ব্যবসায়িক খাতা এবং বিবাহের পরে আমার স্ত্রীকে খরিদ করিয়ে দেওয়া ৪ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং বিবাহের সময় দেওয়া যাবতীয় স্বর্ণালংকার, মূল্যবান কাপড় চোপড়, ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র, ক্রোকারীজ সামগ্রী এবং বিভিন্ন মানুষের সালিশের আমানতকৃত কাগজপত্রসহ লুট করিয়া ৩নং বিবাদীর সহায়তায় ১নং বিবাদীর বাড়ীতে নিয়ে যায়। প্রতিবেশী লােকজন বিবাদীদেরকে মালামাল নিয়া যেতে দেখিলেও আমার | স্ত্রী তাদেরকে ভুল তথ্য পরিবেশন করায় প্রতিবেশী লােকজন তাদেরকে বাঁধা দেয় নাই। আমি বাড়ীতে আসার পরে আমার স্ত্রী সন্তানকে এবং ঘরের মালামাল না দেখে প্রতিবেশীদের নিকট ঘটনার বিষয় অবগত হই। অতঃপর আমার শ্বশুর
বাড়ীতে গেলে সকল বিবাদীগণ আমার সাথে দুর্ব্যবহার করে। তথাপি আমি সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে কোন আইনী ব্যবস্থা না নিয়া বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করি। কিন্তু ১নং বিবাদী আমার জমি এবং টাকা পয়সা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে কোন আপােয় নিস্পত্তিতে রাজি হয় নাই। সর্বশেষ আমি গত ২১/০৬/২০২০ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ৩ টার সময় সাক্ষীসহ বিবাদীগণের বাড়ীতে গেলে বিবাদীগণ আমাকে খুন জখমের হুমকি প্রদান করে। অধিকন্তু আমাকে খুন জখম ও নারী নির্যাতন মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। বিবাদীগণ পরস্পর যােগসাজসে আমার স্ত্রীর নিকট আমানতকৃত ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা আত্মসাৎ করে এবং আমার বাড়ী থেকে ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা অসিবাবপত্রসহ আনুমানিক ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকার মালামাল লুটপাট করে। অধিকন্ত আমার জায়গা জমির দলিল এবং বিভিন্ন সালিশের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমার কাছে আমানতকৃত কাগজপত্র লুট করিয়া নিয়া যায়। এই আমার অভিযােগ।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment