রাজধানীতে ১০ হাজার পিস ইয়াবা সহ আটক কাশিনগর ইউনিয়নের ভূয়া ইউপি চেয়ারম্যান - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday 4 June 2020

রাজধানীতে ১০ হাজার পিস ইয়াবা সহ আটক কাশিনগর ইউনিয়নের ভূয়া ইউপি চেয়ারম্যান

এম এ হাসান, কুমিল্লা:
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যানের নাম ভাঙিয়ে ইয়াবা কারবার ঢাকার পাইকারদের কাছে পৌঁছে দেন নুরুল হক। মাদকবিরোধী আভিযানিক দলের কাছে নিজেকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান পরিচয় দেন তিনি।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রী মসজিদ মার্কেটের সামনে থেকে ৬২ বছরের বয়সি নরুল হক কে ১০ হাজার পিস ইয়াবা সহ আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মহানগর উপ-অঞ্চলের একটি আভিযানিক দল।মহানগরের উপ অঞ্চলের মতিঝিল সার্কেল এর নেতৃত্বে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়।এসময় নুরুল হক কে তল্লাশি চেষ্টা কালে তিনি নিজেকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউপি চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে সার্চ ওয়ারেন্ট দেখাতে প্রসাসন কে বলে সটকে যাওয়ার চেষ্টা করে।
তিনি তার সাথে থাকা ব্যাগে কিছু নেই,তাছাড়া একজন চেয়ারম্যান কে সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়া হয়রানি করতে পারেন না বলেও মন্তব্য করেন।
কিন্তু নাছোড়বান্দা আভিযানিক দলের লোকজন।কারণ তারা নিশ্চিত- এই ব্যক্তির ব্যাগে আছে ইয়াবার চালান।পাতলা কাপড়ের শপিং ব্যাগ তল্লাশি করা মাত্র বেরিয়ে আসে চার হাজার ইয়াবা।তার সঙ্গে থাকা দুই সহযোগীর কাছে পাওয়া যায় আরও ছয় হাজার।
ইয়াবা কারবারি নুরুল হকের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের নিলক্ষ্মী বিষ্ণপুর গ্রামে।তবে আদৌ ইউপি চেয়ারম্যান নন তিনি। অবশ্য ২০০৩ সালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার কাশিনগর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন। এর পর থেকে এলাকার বাইরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড আড়াল করতে নিজেকে সেখানকার ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দিতেন তিনি। মঙ্গলবারও একইভাবে পার পাওয়ার চেষ্টা করেন।
প্রথমে নিজেকে চেয়ারম্যান দাবি করেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, কাশিনগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান। কিন্তু এটিও ভুয়া।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও কাশিনগরের বিভিন্ন সূত্র জানায়, নুরুল হক দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসা করলেও সবসময় ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকেছেন।
কাঁচপুর, চিটাগাং রোড, শ্যামপুরের ফরিদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, বনশ্রী ও রামপুরায় মাদক কারবারিদের কাছে ইয়াবা পাইকারি বিক্রি করেন তিনি। কারও মাধ্যমে নয়, তিনি নিজেই কুমিল্লা থেকে ঢাকায় পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে ইয়াবার চালান পৌঁছে দিতেন। সঙ্গে থাকত দু'জন সহযোগী।প্রতি মাসে অন্তত ১২টি চালান নিয়ে আসতেন ঢাকায়। সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে সন্ধ্যায়ই ফিরে যেতেন ঢাকা থেকে।মাস খানেক ধরে নুরুল হককে হাতেনাতে ধরার চেষ্টা করে আসছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
কিন্তু রাস্তায় গাড়ি পরিবর্তন করে কৌশলে ইয়াবা ঢাকায় পৌঁছে দিয়ে চলে যেতেন তিনি। মঙ্গলবার ইয়াবার চালান নিয়ে নুরুল ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রী আসবেন- এটি নিশ্চিত হন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মহানগর উপ-অঞ্চলের মতিঝিল সার্কেলের পরিদর্শক সুমনুর রহমান। এর পরই তার নেতৃত্বে দক্ষিণ বনশ্রীতে ওত পেতে থাকে আভিযানিক দল।দুপুর আড়াইটার দিকে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা থেকে নেমে মসজিদ মার্কেটের সামনে দাঁড়ান নুরুল হক।
পাশে তার দুই সহযোগী আরিফুল ইসলাম (২৫) ও সফিউল্লাহ ওরফে সাদ্দাম (২৮)। তাদের বাড়িও কুমিল্লা জেলায়। তিনজনকে গ্রেপ্তার ও তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। এই ১০ হাজার পিস ইয়াবা বনশ্রী ও রামপুরায় তিন পাইকারি ব্যবসায়ীকে সরবরাহ করার কথা ছিল। এর আগে ১৫ হাজার পিস ইয়াবা চিটাগাং রোড থেকে কয়েকজনের কাছে বিক্রি করেন।
ওই ক্রেতাদের মধ্যে একজনের বাড়ি চেনেন বলে আভিযানিক দলকে জানিয়েছেন নুরুল হক।মতিঝিল সার্কেলের পরিদর্শক সুমনুর রহমান বলেন, নুরুল হক ইয়াবার বড় কারবারি। তার সিন্ডিকেটের সদস্যরা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কাশিনগরে ইয়াবা মজুদ করেন।
এরপর নুরুল হক নিজেই ইয়াবার চালান ঢাকায় এনে পাইকারি বিক্রি করেন। রাস্তায় একাধিক বার গাড়ি বদল করেন।নুরুল হক সিন্ডিকেটের সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। সমকাল সূত্র একুশে মিডিয়া রিপোর্ট।




একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages