রেখা মনি, রংপুর:
দুর্নীতির
মামলায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন কর্মকর্তাকে আবারও
সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী এই
সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
সাময়িক
বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মকর্তা হলেন- অতিরিক্ত পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন
বিভাগ) এটিজিএম গোলাম ফিরোজ, উপ-রেজিস্ট্রার মোর্শেদ উল আলম রনি এবং
উপ-পরিচালক (বাজেট) খন্দকার আশরাফুল আলম।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) তাদের বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেজিস্ট্রার কর্নেল আবু হেনা মুস্তফা কামাল (অব.)।
মামলা
ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৩
সালের ১২ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বিত রংপুর জেলা
কার্যালয়ের তৎকালীন উপ-পরিচালক আবদুল করিম বাদী হয়ে রংপুরের চিফ
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
২০১৭
সালের ১৯ মার্চ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড.
আবদুল জলিল মিয়াসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন
দুদকের সমন্বিত রংপুর জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত
কর্মকর্তা আকবর আলী।
দুদকের
মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত থাকলেও ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই উপ-রেজিস্ট্রার
শাহজাহান আলীকে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)
এটিজিএম গোলাম ফিরোজকে অতিরিক্ত পরিচালক, সহকারী রেজিস্ট্রার মোর্শেদ উল
আলম রনিকে উপ-রেজিস্ট্রার এবং সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার
আশরাফুল আলমকে উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।
একই
বছরের ২০ জুলাই চার্জশিট আমলে নিয়ে আদালতে হাজির উপ-রেজিস্ট্রার শাহজাহান
আলী মন্ডল ও সাবেক ভিসি অধ্যাপক আব্দুল জলিল মিয়াকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন
বিচারক। এছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
পরে
২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪তম সিন্ডিকেট সভায় শাহজাহান আলী
মন্ডলসহ অন্য তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৩১
অক্টোবর রংপুরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক উক্ত মামলা থেকে এই তিন
কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেয় এবং তাদের সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করে
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু
দুদক ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে হাইকোর্ট ২০১৮ সালের ৩১
জানুয়ারি নিম্ন আদালতে তাদের অব্যাহতি দেয়ার আদেশ বাতিল করে রুল জারি করেন।
সে
অনুযায়ী ওই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির
হয়ে জামিনপ্রাপ্ত হন তারা। দীর্ঘদিন চাকরিতে বহাল থাকার পর বৃহস্পতিবার
সন্ধ্যায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment