মোঃ
জাকির হোসেন, জেলা প্রতিনিধি:
করোনার যুদ্ধে সারাদেশে অনেক লোক শহীদ হলেও
বিন্ধু মাত্র ভয় ছিলনা ঢাকার দোহার উপজেলার মানুষের মনে। তোয়াক্কা না করে
নিজেরা নিজেদের খেয়াল খুশি মত চলছে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। করোনায় তাদের ভয়
দেখাতে না পারলেও সারা উপজেলাকে ভূমিকম্পনের মত নাড়িয়ে দিয়েছে উজানের
পানিতে। ৮ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার মধ্যে সাতটি ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার
পরিবার পানি বন্দী।
পদ্মা নদীর তীরবর্তী গ্রামবাসীদের মাঝে এখন আতঙ্ক। কখন
যেন স্রোতের টানে ঘরবাড়িসহ নিজেরাও ভেসে যায়। মঙ্গলবার বিকালে, উপজেলার
নারিশা ইউনিয়নের মেঘুলা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি বাড়িতে বাঁশ এবং কাঠ
দিয়ে টং বানিয়ে বৃদ্ধা, মধ্য বয়সী ও নবযুগল পাখির মত জোড়ায় জোড়ায় বসে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ দাস জানায়, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি ও টানা বর্ষণে ঘর
ডুবে যাওয়ায়, গাছের সাথে টং বেঁধে বুড়ো-বুড়ি বসে আছি।
মধ্য বয়সি পূঁজা দাস
জানায়, ছেলে মেয়েদের নানার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। কখন যেন পদ্মার স্রোতে ভেসে
যাই। আমরা ভেসে গেলেও সন্তান দুটোতো বেঁচে থাকবে।
কোমর সমান পানি ভেঙে আসা
কল্পনা আক্তার জানায়, মেয়ের বাড়িতে খাবার ছিলনা তাই কিছু চাল ডাল দিয়ে
নাতি সাহেদকে নিয়ে আসলাম। মেয়েটা বেখালী যদি নাতিটা পানিতে পড়ে যায়, তাই
ওকে বর্ষা পর্যন্ত আমার কাছে রাখবো।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment