কালীগঞ্জে তৈরি হচ্ছে পাটের জুতা, রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপ আমেরিকাতে - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Monday 31 August 2020

কালীগঞ্জে তৈরি হচ্ছে পাটের জুতা, রপ্তানি হচ্ছে ইউরোপ আমেরিকাতে

রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ:

ঝিনাইদহ–যশোর মহাসড়কের কালীগঞ্জ  উপজেলার রঘুনাথপুর বাজারের পাশে তৈরি হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব পাটের জুতা। এসব পাটের জুতা তৈরীর কাজ করছেন একই এলাকার প্রায় ৪শত নারী।
এসব জুতা রপ্তানী হচ্ছে ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ফলে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হচ্ছে এসব নারীদের পরিবার। দেশের ঐতিহ্য এই পাট দিয়ে জুতা তৈরী ও বিদেশে রপ্তানী করছে এ্যামাস ফুটওয়ার লিমিডেট নামের প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবাইদুল হক রাসেল নামের এক যুবক। তার বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর শহর এলাকার দক্ষিণ আড়পাড়ায়।
লোকসানের মুখে দেশে যখন সরকারি ভাবে বিভিন্ন পাটের কারখানাগুলো বন্ধ করা হচ্ছে।ঠিক একই সময়ে দেশীয় এ সম্পদ ধরে রাখতে দেশের মফস্বল এ অঞ্চলে পাট দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পায়ে ব্যবহৃত জুতা। এখানে তৈরিকৃত জুতা ফ্রান্স, প্যারিস, জার্মানী, ইতালি, স্পেনসহ চীন জাপানে রফতানি করা হচ্ছে। খুব অল্প সময়ে হাতে তৈরি করে নারী শ্রমিকেরা।এসব নারীর অধিকাংশই গৃহিনী। বাড়ির সাংসারিক কাজের পাশপাশি তারা হাতে পাটের জুতা তৈরির কাজ করছেন। ফলে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা আয় করায় সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরেছে এসব অনেক পরিবারে।
এ্যামাস ফুটওয়ার লিমিডেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবাইদুল হক রাসেল জানান, পড়াশোনা শেষ করে তিনি নিজে কিছু করতে চেয়েছিলেন। ঢাকায় প্রথম গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেন। এরপর ২০১৬ সালের দিকে এলাকার মানুষের জন্য কিছু করার আগ্রহ নিয়ে এবং দেশের পাট শিল্পকে বিশ্বে তুলে ধরার জন্য আগ্রহে কালীগঞ্জ উপজেলার যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের রঘুনাথপুর বাজারের পাশে ৪৪ শতক জমি ক্রয়ের মাধ্যমে পাটের জুতা তৈরির কারখানা তৈরি করেন। দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে কিছু মেশিন সংগ্রহ করে কাজ শুরু করেন। এরপর বিভিন্ন পাটের কারখানা থেকে কাচা মাল ক্রয় করে এনে এখানে পাটের জুতা তৈরি শুরু করেন।২০১৭ সাল থেকে তার উৎপাদিত পাটের জুতা ইউরোপ আমেরিকাসহ চীন এবং জাপানে রপ্তানি করা হচ্ছে।
তার কারখানায় ৮০ জন নিজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। এছাড়াও এলাকার প্রায় ৪শ নারী এখান থেকে কাজ নিয়ে গিয়ে বাড়িতে বসে জুতা তৈরীর কাজ কাজ করে থাকে। তাদের ফ্রি প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজ দেওয়া হয়। এ জুতা প্রতি জোড়া তৈরী হিসাবে কাজের জন্য তারা বিল পেয়ে থাকেন। এক জন নারী বাড়ির সাংসারিক কাজের পাশাপাশি হাতে এই জুতা তৈরি করে মাসে প্রায় ৪ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন। এখানকার তৈরি জুতা ২ থেকে ১৫ ডলার পর্যন্ত রেটে জুতা বিক্রি করেন। ইতিমধ্যে আমার কারখানায় উৎপাদিত পাটের জুতা দিয়ে প্যারিসে কয়েকটি ফ্যাশন শো হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি নিজেই এই জুতার মার্কেটিং ও বায়ারদের সাথে কথা বলে রফতানি করি। বিশ্বের অনেক দেশে পাটের জুতার বেশ চাহিদা রয়েছে বলে তিনি জানান।
এ্যামাস ফুটওয়ার লিমিটেডের ম্যানেজার মাসুদ রানা জানান, এই কারখানায় ৬টি ধাপে একটি জুতা তৈরি করা হয়। সোল্ড তৈরি হয় রাবার দিয়ে। জুতার বাকি অংশ তৈরি হয় পাট দিয়ে। আর এই কাজ গুলো সম্পুর্ণ হাতের মাধ্যমে করা হয়। প্রতিমাসে তাদের কারখানা থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার জুতা রফতানি করা হচ্ছে। এই জুতার বৈশিষ্ট্য হলো ব্যাবহারের পরে ফেলে রাখলে এটি মাটির সাথে মিশে যায়। ফলে এটি সম্পুর্ন পরিবেশবান্ধব।




একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages