একুশে মিডয়া, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকার বিরুদ্ধে রবিবার (২৪ জানুয়ারী) বাঁশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাঈনুল ইসলামের আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বাদী পন্ডিত উজ্জ্বল ভট্টাচার্য। রাতভর রশি দিয়ে বেঁধে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা ফাটিয়ে দেয়া ওই মামলা ম্যাজিষ্ট্রেট মাঈনুল ইসলাম আমলে নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সালেককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বাঁশখালী আইনজীবি সমিতির সভাপতি সিনিয়র আইনজীবি শামশুল ইসলাম চৌধুরীসহ ৪ জন আইনজীবি।
আদালতে দেয়া অভিযোগে জানা যায়, চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকার নির্দেশে গত ৭ জানুয়ারী সাধনপুর ইউনিয়নের বাণীগ্রামে অবস্থিত বাদির দোকান থেকে বাদিকে চৌকিদার বশির আহমদ বাদীর সাথে জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধীয় আরও ৬ জনের সহযোগিতায় জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিক্সা যোগে উঠিয়ে নিয়ে চেয়ারম্যানের নিজ বাড়িতে রাত ৮টা থেকে ১টা পর্যন্ত রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন। পরে লাঠি দিয়ে নিজ হাতে পিটিয়ে বুকে, পিঠে, কোমরে, উভয় রানে, পায়ে ও মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেন। ওই রাতে উজ্জ্বল ভট্টচার্যের শারীরিক অবস্থা বেগতিক হলে তার আত্মীয়-স্বজন রক্তাক্ত অবস্থায় চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে তাকে বাঁশখালী হাসপাতালে ভর্তি করান। ওইখানে তার মাথায় ৪টি সেলাই করা হয়। চেয়ারম্যানের পিটুনিতে এখনও পুরো শরীরে ব্যাথা ও মাথায় জখম রয়েছে। মাথা ফাটিয়ে দেয়ার পর চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা ১০০ টাকার ৩টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেন।
বাদী পন্ডিত উজ্জ্বল ভট্টচার্য্য বলেন,‘ আমার পৈত্রিক ১৬ শতক জায়গাতে আমি বিগত ২২ বছর ধরে দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা চালিয়ে আসছি। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে পুজা ও জোতিষ শাস্ত্রীয় পেশায় জড়িত। আমি এলাকায় পন্ডিত হিসেবে পরিচিত। আমার প্রতিবেশি ঋষিকেষ ভট্টচার্য্য ওই সম্পত্তি দাবি করে সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে আর্থিকভাবে প্রভাবিত করে। চেয়ারম্যান আর্থিক সুবিধা নিয়ে চৌকিদার বশির আহমদ, প্রমীরণ দে, মুবিন, কামাল আহমদ, করুণাময় ভট্টচার্য্য, প্রেমানন্দসহ আরও ৪/৫ জনের সহযোগিতায় আমাকে জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিক্সা করে চেয়ারম্যানের বাড়িতে উঠিয়ে নেন এবং পিটিয়ে মাথা ফেটে দেন। পরে ১০০ টাকার ৩টি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। আমি থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ প্রভাবশালী চেয়ারম্যানের কারণে মামলা নেননি। পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে আমি ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আজ মামলা দায়ের করেছি।
বাঁশখালী আইনজীবি সমিতির সভাপতি সিনিয়র আইনজীবি শামশুল ইসলাম চৌধুরী বলেন,‘ পন্ডিত উজ্জ্বল ভট্টচার্য্যের ওপর চেয়ারম্যানের ন্যাক্করজনক হামলার মামলাটি ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত বাঁশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।’
সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী খোকা বলেন, ‘ আমি উজ্জ্বল ভট্টচার্য্যকে পিটায়নি, রশি দিয়েও বাঁধিনি। কিভাবে মাথা ফেটেছে জানি না। কোন স্ট্যাম্পেও স্বাক্ষর নিইনি।
একুশে মিডিয়া/এমএসএ
No comments:
Post a Comment