খুন নয়, আত্মহত্যা করেছে চট্টগ্রামের সেই স্কুলছাত্রী তাসফিয়া!-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday 16 September 2018

খুন নয়, আত্মহত্যা করেছে চট্টগ্রামের সেই স্কুলছাত্রী তাসফিয়া!-একুশে মিডিয়া



একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
খুন নয়, সাগরের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্কুলছাত্রী তাসফিয়া। রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তাসফিয়া হত্যা মামলার তদন্ত শেষে চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক স্বপন সরকার।।”।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, ভিসেরা রিপোর্ট, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, সাক্ষীদের দেওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ এবং তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে খুন নয়, তাসফিয়া আত্মহত্যা করেছে।।”।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রাম নগরের এলিমেন্টরি স্কুলের শিক্ষার্থী আদনান মির্জার সাথে ঘটনার এক মাস আগে বন্ধুত্ব হয় তাসফিয়ার। বিষয়টি জেনে তাসফিয়ার কাছ থেকে মোবাইলের সিম নিয়ে ফেলেন তার বাবা। আদনানের সাথে সম্পর্ক না রাখতে তারা নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করলেও গোপনে আদনানের সাথে সম্পর্ক অটুট রাখে তাসফিয়া।।”।

গত ১ মে গোপনে আদনানের সঙ্গে দেখা করতে মা-বাবার অজান্তে জিইসি মোড় এলাকার বাসা থেকে বের হয় তাসফিয়া। একইদিন সন্ধ্যার দিকে আদনান ও তাসফিয়া গোলপাহাড় মোড় এলাকার ‘চায়না গ্রিল’ নামে একটি চাইনিজ রেস্টেুরেন্টে যান।।”।
মা-বাবা বিষয়টি জেনে ফেলায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে তাসফিয়া। এক পর্যায়ে ‘চায়না গ্রিল’ থেকে বের হয়ে আদনান চলে যায় তার বাসা খুলশি জালালাবাদ এলাকায়। আরেকটি সিএনজি নিয়ে তাসফিয়া চলে যায় পতেঙ্গায় নেভাল বিচে। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ হতাশ হয়ে বসে থাকে তাসফিয়া। পরে সাগরে নেমে আত্মহত্যা করে তাসফিয়া।।”।

আদালত সূত্র জানায়, তাসফিয়া হত্যা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মোট ১৬ জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন সাক্ষী এমনও আছেন যারা গত ১ মে রাতে তাসফিয়াকে সাগরে নামতে দেখেছেন। পরে চিৎকারের শব্দ হলে পানিতে নেমে তাসফিয়াকে খুঁজে পাননি সাক্ষীরা। পরের দিন ২ মে সকালে তাসফিয়ার লাশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভিসেরা রিপোর্টে তাসফিয়ার শরীরে বিষক্রিয়া কিংবা ধর্ষণের কোনো প্রমাণও পাওয়া যায়নি। তাসফিয়ার বন্ধু আদনানসহ অন্যান্য আসামিদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেও হত্যার কোনো প্রমাণ মেলেনি।।”।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয় তাসফিয়া। প্রায় পাঁচমাসে সে ক্লাসে উপসি’ত ছিল দুই মাস। মার্চ মাসে ক্লাস টেস্ট পরীক্ষায় চারটি বিষয়ে ফেল করেছিল তাসফিয়া। পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট এবং স্কুলে নিয়মিত উপসি’ত না থাকায় তাসফিয়ার মাকে ডেকে পাঠান অধ্যক্ষ। এসময় তাসফিয়ার মা অধ্যক্ষকে বলেন, ‘মেয়ে লেখাপড়ায় অমনোযোগী। বাসায় সবসময় মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আমার কথা শুনে না।’ উত্তরে অধ্যক্ষ বলেন, ‘মেয়েকে লেখাপড়ায় মনোযোগী করার চেষ্টা করুন।।”।

বাসায় ফিরে গিয়ে অধ্যক্ষ ডেকে পাঠানোর কথা তাসফিয়ার বাবাকে জানান তার মা। এক পর্যায়ে তার বাবা তাসফিয়ার সিম কেড়ে নেন এবং ফেসবুক অ্যাকাউন্টও ডিঅ্যাকটিভ করে দেন। এরপর এক ধরনের ট্রমায় ভুগতে থাকে তাসফিয়া। স্কুলে গেলে কারো সাথে কথা বলত না। ক্লাসে চুপচাপ বসে থাকত। শিক্ষকরা প্রশ্ন করলে শুধু ইয়েস আর নো উত্তর দিত তাসফিয়া।।”।

বাবার ‘কড়া’ শাসনের ফলে বাসায় এক ধরনের ‘গৃহবন্দি’ অবস্থায় দিন কাটায় তাসফিয়া। শুধু স্কুলে যাওয়া-আসা করত। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সে বাসা থেকে হেঁটে বের হয়ে বন্ধু আদনানের সাথে দেখা করেছিল।।”।
গত ১ মে সকালে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের ১৮ নম্বর ব্রিজঘাটের পাথরের ওপর থেকে তাসফিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে অজ্ঞাত লাশ মনে করা হলেও পরিচয় মেলার পর একই দিন সন্ধ্যায় খুলশি থানার জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটির বাসা থেকে তাসফিয়ার বন্ধু আদনান মির্জাকে (১৬) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিশ।।”।

আদনান মির্জা নগরের বাংলাদেশ এলিমেন্টারি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। তাসফিয়াকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে তার বাবা মো. আমীন গত ৩ মে দুপুরে আদনান মির্জাকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন।।”।
আসামিরা হলেন-আদনান মির্জা, সৈকত মিরাজ, আশিক মিজান, ইমতিয়াজ সুলতান ইকরাম, মো. মোহাইন ও মো. ফিরোজ। ওই মামলায় আদনানকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। আদনানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে একাধিকবার হেফাজতে নেয় পুলিশ।।”।

গত ২৩ মে রাতে আশিক মিজানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দীর্ঘ এক মাস তদন্তের পর গত জুন মাসে তাসফিয়া হত্যা মামলা নগর ডিবিতে স্থনান্তর হয়। গত ৩ জুলাই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক ফিরোজকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একুশে মিডিয়া।”।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages