রাবিতে বর্ণিল সাজে বর্ষবরণ। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Sunday 14 April 2019

রাবিতে বর্ণিল সাজে বর্ষবরণ। একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, রাবি প্রতিনিধি :
‘আইলো আইলো রে/ রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে’। শুরু হয়েছে নতুন বছর ১৪২৬ বক্সগাব্দ। পুরাতন বছরের সকল জরাজীর্ণতা ভুলে নতুনকে স্বাগত জানাতে আয়োজনের শেষ নেই সারাদেশে। ঠিক যেন নানা রঙ্গের সাজে বৈশাখ চলে এসেছে বাঙালির আঙিনায়।
সবকিছুতেই যেন নতুনের ছোঁয়া। তেমনই নতুন বছরকে বরণ করে নিতে পিছিয়ে নেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও। মতিহারের সবুজ চত্বর সেজেছে বর্ণিল সাজে।
সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পাসে বেজে ওঠে বৈশাখের সুর। ধীরে ধীরে নামতে থাকে নানামুখী মানুষের ঢল। রাজশাহী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে নানা ক্ষেত্রের কর্মজীবী, ছোট থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ ধর্ম-বর্ণ-বৈষম্য ভুলে মেতে উঠেছে বৈশাখী আমেজে।

প্রতিবারের ন্যায় এবারও বৈশাখের মূল আকর্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ। ‘'মস্তক তুলিতে দাও অনন্ত আকাশে’ এই স্লোগানে রবিবার সকাল ১১ টায় চারুকলা চত্বরে বর্ষবরণের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। উপাচার্যের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর পরই শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা।  শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা, বিভিন্ন কর্তা ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় এবার ঘোড়া, হাতি ও ময়ুরের প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়েছে। ঘোড়ার প্রতিকৃতি ‘গতি’র বার্তা বহন করবে। এটি দীর্ঘদিন ধরে ঝিমিয়ে থাকা বাংলাদেশে অর্থনীতির বর্তমান গতিকে উপস্থাপন করবে। আর ময়ুরের নাচ ও রঙিন পালক উৎসবের আমেজকে নির্দেশ করবে। হাতির প্রতিকৃতি বাংলাদেশের ধাবমান বৃহৎ অর্থনীতির প্রতীক হিসেবে বার্তা বহন করবে।
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, বছরের নতুন প্রভাতকে বরণ করে নিতে সকাল থেকেই ঢাক, ঢোল আর গান বাজনায় মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। বিভিন্ন বিভাগ আর সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও বের করা হয় শোভাযাত্রা। রংবেরঙের পাঞ্জাবি, শাড়িতে দেখা যায় তরুণ তরুণীদের। কেউ কৃষকের সাজে, আবার কেউ বা বর-বউ, আবার কাউকে দেখা গেছে লুঙ্গি পাঞ্জাবি তে। বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে পুরো ক্যাম্পাস মাতিয়ে তোলেন শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাসের মূল আয়োজন চারুকলাকে কেন্দ্র করে হলেও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন বিভাগগুলোতে ছিলো বর্ষবরণের নানা আয়োজন। ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ্ একাডেমিক ভবনের সামনে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃিত বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ, সংস্কৃত বিভাগ। সিরাজী ভবনের সামনে ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ। রবীন্দ্রনাথ একাডেমিক ভবনের সামনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ইনফরমেশন সাইন্স এন্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগ। ড. এম.ওয়াজেদ আলী একাডেমিক ভবনের সামনে ম্যাটেরিয়াল সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ,ফার্মেসি বিভাগ।
স্যার জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে পপুলেশন সাইন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগ, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ, মনোবিজ্ঞান বিভাগ । ড. কুদরত-এ-খুদা একাডেমিক ভবনের সামনে রসায়ন বিভাগ। মমতাজ উদ্দিন একাডেমিক ভবনের সামনে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, সমাজকর্ম বিভাগ। শেখ রাসেল স্কুল মাঠে অর্থনীতি বিভাগ। টিএসসি'র মাঠে ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগ নানা আয়োজনে বর্ষবরণ করছে। শিক্ষার্থীরা নেচে গেয়ে আনন্দ উচ্ছাস প্রকাশ করছে।
এদিকে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও দিনটি উদযাপনে করছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি (রুরু), বিতর্ক সংগঠন গোল্ড বাংলাদেশসহ অন্যান্য সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
চারুকলা অনুষদ চত্বর, পুরাতন ফোকলোর চত্বর, টুকিটাকি চত্বর, লিপু চত্বর, শহীদুল্লাহ কলাভবন, ইবলিশ চত্বর, সাবাশ বাংলাদেশ মাঠ চত্বরসহ লোকারণ্য হয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসের প্রতিটা জায়গায় যেন তিল ধারণের মতো ঠাঁই নাই।
নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক  লুৎফর বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে সকল অনুষ্ঠান শেষ করার জন্য ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চতকরণে অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা  বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।





একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages