দোহার থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মিনি কক্সবাজার। একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Friday 31 May 2019

দোহার থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মিনি কক্সবাজার। একুশে মিডিয়া


মোঃ জাকির হোসেন, জেলা প্রতিনিধি:>>>
ঢাকার দোহার উপজেলার বাহ্রাঘাট থেকে মিনিকক্সবাজার খ্যাত মৈনটঘাট হয়ে মাহমুদপুর খাল পর্যন্ত পদ্মা নদীর তীরে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত একমাসে ৪ কিলোমিটার এলাকার ফসলী জমি, ঘর-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীতে বিলিন হয়ে গেছে।
মৈনট ঘাটের পর্যটন এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো তিন দফা স্থানান্তর করা হয়েছে। এতে ফের আতংকিত হয়ে পড়েছে পদ্মাপারের মানুষ। এলাকাবাসী জানান, দোহারের বাহ্রাঘাট থেকে নয়াবাড়ির অরঙ্গবাদ পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার তীর সংরক্ষণে ২শ’ ১৯ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান রয়েছে।
এছাড়া ১ হাজার ৪৮৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে মাঝিরচর থেকে মুকসুদপুর পর্যন্ত সাড়ে ৭ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। যা এখনো শুরু করা হয়নি।
এলাকাবাসী আরও জানান, দুই প্রকল্পের মাঝখানে বাহ্রাঘাট থেকে মাঝিরচর পর্যন্ত ৬ কিলোমিটারের নদীর তীর সংরক্ষণে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। এমতাবস্থায় ঐ অংশের বাহ্রাঘাট থেকে মাহমুদপুর খাল পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার নদীর তীরে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
মিনিকক্সবাজার খ্যাত মৈনটঘাটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলী আহাম্মদ জানান, এবছর বর্ষা মৌসূমের শুরু থেকে নদীতে প্রবল স্ধেসঢ়;্রাত বইছে। স্ধেসঢ়;্রাতে তীরের ভূমিক্ষয় হয়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই তা ব্যাপক আকার ধারণ করছে। ৪কিলোমিটার জুড়ে একই অবস্থা। এতে অসহায় হয়ে পড়েছে নদীর তীরের বাসিন্দারা। তিনি জানান, গত ১মাসে মৈনট ঘাটের দেড়’শ ফুট এলাকা ভেঙে নদীতে চলে গেছে।
দোকান গুলোকে তিন দফা সরিয়ে আনতে হয়েছে। প্রতিদিনই তা অব্যাহত আছে। এতে মিনিকক্সবাজার সুন্দর্য হারাচ্ছে। গত ১মাসে পর্যটকদের আগমন কমে গেছে। আমরাও পরিবার নিয়ে সংশয়ে পড়েছি। মৈনটঘাটের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল আজিজ বলেন, নদীর ওপার ফরিদপুরের চরভদ্রাসনের গোপালপুর ঘাট। এপার দোহারের মৈনটঘাট। এবছর সরকারি দরপত্রের মাধ্যমে প্রায় পৌনে ৬ কোটি টাকায় ঘাটের ইজারা নেয়া হয়েছে।
দেশের কোন ঘাট থেকে এতো টাকা সরকারি কোষাগারে যায় বলে আমার জানা নেই। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলার শত শত মানুষ এঘাট দিয়ে যাতায়াত করছেন। তবুও আমরা অবহেলিত। দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা বলেন, এবিষয়ে জানায়নি। খোঁজ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মঈন উদ্দিন এবিষয়ে বলেন, প্রতিবছরই ভাঙছে। আমাদের লোকজন ঐ এলাকায় আছে। তারা পুরো প্রকল্প এলাকার ভাঙ্গন প্রতিরোধে পরিক্ষা চালাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় বা বিভাগ ভাঙন সমাধানে তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন।



একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages