বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের নামে বসতবাড়ী ও ধানী জমি উচ্ছেদ বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday 16 January 2020

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের নামে বসতবাড়ী ও ধানী জমি উচ্ছেদ বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন


একুশে মিডিয়া, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:>>>
পাউবো কর্তৃপক্ষ খাল খনন প্রকল্পের নাম দিয়ে খতিয়ানভূক্ত ব্যক্তি মালিকানাধিন জমি অধিগ্রহণ ব্যতিত ও বিনা নোটিশে ১ কি: মি: জায়গা জুড়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে লাল পতাকা।
ঘটনাটি সংঘটিত হয় পুঁইছড়ী ইউপির জংঙ্গল নাপোড়া ও সরলিয়া বাজার এলাকায়। এরই প্রতিবাদে  চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ী ইউনিয়নে গোবিন্দখাল খনন ও বেড়িবাঁধ নির্মানের নামে বসতবাড়ী উচ্ছেদ বন্ধের দাবীতে প্লেকার্ড, ব্যানার সহকারে মানব বন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্থ শতাধিক পরিবার।
বৃহস্প্রতিবার (১৬ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ মাঠ ও প্রধান সড়কে নারী পুরুষরা মানব বন্ধন করেছেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তারকে স্বারক লিপি প্রদান করেছে। 
এ সময় ক্ষতিগ্রস্থরা বলেন, পুঁইছড়ী ইউনিয়ন হতে বহদ্দার হাট পর্যন্ত  ছনুয়া খাল ও গোবিন্দ খালের পুঁইছড়ী অংশের দরিদ্র, ছিন্নমুল, জনসাধারনকে বিনা নোটিশে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। শত বছরের পুরাতন বাসিন্দাদেরকে উচ্ছেদ করে অপরিকল্পিতভাবে ধানী জমিতে মাটি কেটে খাল খনন ও বেড়িবাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। এ খালের পার্শ্বে ব্যক্তি মালিকানাধিন জমির মালিকদেরকে ক্ষতিপূরন না দিয়ে লাল পতাকার খুঁটি দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ ধরনের আচরন মেনে নেয়া যাবে না। গত কিছুদিন ধরে স্কেবেটর দিয়ে ভেঙ্গে শতাধিক বসতবাড়ী উচ্ছেদ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী ভাঙ্গন, বাস্তুহারা পরিবারদেরকে পুনবার্সন করছেন। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বেড়িবাঁধ নির্মানের নামে বসত ভিটা উচ্ছেদ করছেন। আমাদের বেঁচে থাকার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। 
পুঁইছড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোলতানুল গণি চৌধুরী মানব বন্ধনে উপস্থিত থেকে বলেন, গরিব, অসহায় মানুষদেরকে পুর্নবাসন না করে শত বছরের বসবাস কারী পরিবারদের বসতবাড়ী গুটিয়ে দেয়া হচ্ছে। 
বাঁশখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বরত সহকারী প্রকৌশলী মঞ্জুর আলম জানান, পুঁইছড়ী এলাকায় খাল ও বেড়ীবাঁধ নির্মানের জন্য সরকারীভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে ১০কোটি টাকার কাজ শুরু হয়েছে। তবে ব্যক্তি মালিকানাধিন খতিয়ানভূক্ত জায়গার মালিকগণদের নোটিশ কিংম্বা জমি অধিক গ্রহনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে চলেন। 
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, পুঁইছড়ী ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের বসতবাড়ী উচ্ছেদের বিষয়টি স্বরজমিনে তদন্তকরে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জঙ্গল নাপোড়া পৈত্রিক জমিতে ক্ষতি পূরণ ছাড়া কোন ধরনের জমি পানি উন্নয়ন বোর্ড দখল করার নিয়ম নেই বলেও তিনি জানান। ৬মাস পূর্বে প্রসাশনকে জানানোর কথা। কিন্তু পানি উন্নয়নের কোন কর্মকর্তা উপজেলা প্রসাশনকে অবহিত করেননি।






একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages