আল আমিন মুন্সী:
নরসিংদীর পলাশে স্থানীয় এক কাউন্সিলরকে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় আশিকুর রহমান পনির নামে এক ঠিকাদারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীরা ঠিকাদার পনিরকে লোহার পাইপ ও রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে।<:একুশে মিডিয়া:>
আহত পনিরের মাথায় ও পায়ে ৯ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক। এ ঘটনায় মাহফুজ মিয়া (৩০), শাহীন মিয়া (২৪) ও রফিকুল ইসলাম (৩২) নামে তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পলাশ থানা পুলিশ। আহত পনির বর্তমানে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত আশিকুর রহমান পনির বলেন,আমি প্রায় ১৫ বছর ধরে ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঠিকাদারীর ব্যবসা করে আসছি।<:একুশে মিডিয়া:>
প্রায় সময়ই বাধ্য হয়ে বিভিন্ন টেন্ডার থেকে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জুলহাস মিয়াকে চাঁদার টাকা দিতে হয়েছে। কিছু দিন আগে ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি পাইপ লাইনের টেন্ডারের কাজ পাই। সেই কাজ করতে গেলে কাউন্সিলর জুলহাস মিয়া মোটা অংকের চাঁদার টাকা দাবি করে। পরে আমি ওই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানাই। তখনই আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে বলেছে যে, এখানে তুই কাজ করতে গেলে আমার টাকা দিয়ে কাজ করতে হবে। আর নয়তো তুই কি করে কাজ করিস তা দেখে নিবো।<:একুশে মিডিয়া:>
সর্বশেষ সোমবার দুপুরে ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাইডে যাওয়ার সময় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গেটের সামনে তিন যুবক এসে আমার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই লোহার পাইপ ও রড দিয়ে এলোপাতারি মাইর শুরু করে। এরপর আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে কাউন্সিলর মোঃ জুলহাস মিয়া বলেন, চাঁদা দাবির যেই বিষয়টি এনে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। পাশাপাশি ঠিকাদার পনিরের ওপর হামলা বিষয়টি আমি জানিই না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।<:একুশে মিডিয়া:>
এ ব্যাপারে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, ঠিকাদার পনিরের ওপর হামলার ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পাশাপাশি হামলাকারী তিন যুবককে স্থানীয়দের সহায়তায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান গেটের সামনে ঘটনা হওয়ায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ওই ফুটেজ দেখে গ্রেফতারকৃতদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।<:একুশে মিডিয়া:>
একুশে মিডিয়া/এমএসএ<:একুশে মিডিয়া:>
No comments:
Post a Comment