হাতীবান্ধায় বিপদ সিমার ৫০সে.মি উপরে পানি, রেড এলার্ট জারি। শিশুর মৃত্যু - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Monday 13 July 2020

হাতীবান্ধায় বিপদ সিমার ৫০সে.মি উপরে পানি, রেড এলার্ট জারি। শিশুর মৃত্যু

কাজী শাহ্ আলম, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

প্রবল বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ৭ টি ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ঘুমের ঘরের বন্যার পানিতে ডুবে আলিফা আক্তার নামে ৮ মাস বয়সী এক শিশু’র মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার দোয়ানীতে অবস্থিত বৃহত্তর সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে ৫০ সেন্ট্রিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রেড এলার্ট জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। রবিবার রাতে বিপদ সীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। বর্তমানে পানিবন্দি ও প্লাবিত এলাকার দূর্ভোগ বেড়েছে।
জানাগেছে, রবিবার রাতে আর্কষিক ভাবে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পায় এবং ভয়াভহ বন্যা দেখা দেয়। এতে গড্ডিমারী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের আনোয়ার হোসেনর শিশু সন্তান ঘুমের ঘরে পানিতে ডুবে পারা যায়।
তিস্তা ব্যারেজের সকল গেট খুলে দেয়া থাকলেও বিপদ সীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে থাকে।
এ বন্যায় ব্যারেজে ফ্লাটবাইপাস এর উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে থাকে ফলে ভাটিতে চর ও নিজ গড্ডিমারী চর ও উত্তর দক্ষিণ ধুবনী , সিন্দুর্ণা উত্তর দক্ষিণ ও চর সিন্দুর্ণা হলদীবাড়ি, উত্তর দক্ষিণ পারুলিয়া ও পশ্চিম হলদীবাড়ি ,ডাউয়াবাড়ি পূর্ব ও পশ্চিম ডাউয়াবাড়ি এবং কিশামত নোহালী সহ তিস্তা নদী কবলিত ৭টি ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
এসব এলাকায় গবাদী পশু হাঁস-মুরগী, ধান-চাল সহ যাবতীয় মালামাল নিয়ে ভাসছে তিস্তা পাড়ের বানভাসি মানুষ।
এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় ৬টি মাটির বাধ ভেঙ্গে গেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন উচু বাধঁ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় নিয়েছে বানভাসিরা। তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি সহ তীব্র খাদ্যাভাব।
সোমবার এ খবর লেখার সময় পর্যন্ত এ খবর লেখা সময় পর্যন্ত সরকারী ভাবে ত্রান সাহায্য বিতরন করা হয়নি বলে এলাকাবাসি জানিয়েছেন।
অপর দিকে ভাটিতে এ বন্যায় হাতীবান্ধা বড়খাতা যোগাযোগের বাইপাস ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পাকা সড়কের উপর দিয়ে উপছে পানি ক্রমে নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়া সহ সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ার তীব্র আশংকা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন এলাকাবাসী নিজ উদ্যেগে মাটির বস্তা দিয়ে রোধ করার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা ত্রান কর্মকর্তা ফেরদৌস আহম্মেদ বলেন, ৩৫ মেট্রিকটন চাল ও ৭০ হাজার টাকার চেক বরাদ্দ পাওয়া গেছে, যা মঙ্গলবার থেকে বিতরন।





একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages