দোয়ারাবাজারে দূর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান করায় সমাজ থেকে একঘরে করে দেওয়ার অভিযোগ - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Friday 21 August 2020

দোয়ারাবাজারে দূর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান করায় সমাজ থেকে একঘরে করে দেওয়ার অভিযোগ

একুশে মিডিয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: 
দোয়ারাবাজারে দূর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান করায় ৩টি পরিবারকে সমাজ থেকে একঘরে করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের গুরেশপুর গ্রামের লন্ডন প্রবাসী কামরান আব্দুল হাই, আব্দুল গণি, তাজু, জয়নাল আবেদিন, অজুদ আলী ও মছদ আলীর পরিবারকে সমাজ থেকে একঘরে করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
শুক্রবার দুপুর তিনটায় গুরেশপুর গ্রামের জয়নাল আবেদিনের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে একঘরে হওয়া পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য রাখেন আব্দুল আলীর ছেলে তাজুল ইসলাম ও অজুদ আলীর স্ত্রী মোহন মালা।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, দোহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার মিয়া আনু ও ০৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলী হোসেনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে সমাজ থেকে ৩টি পরিবারকে  একঘরে করে দেওয়া হয়েছে। নানানভাবে হুমকি দেওয়াসহ সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধভাবে বাড়িতে একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে।
অভিযোগ করে বলেন, সামাজিকভাবে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছেনা। স্থানীয় তোফাজ্জল ইসলামের ছেলে মামুন আহমেদের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় একঘরে হওয়া জয়নাল আবেদিনের মেয়ের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একের পর এক বিভ্রান্তিকর ছবি পোস্ট করা হচ্ছে বিভিন্ন বেনামী ফেসবুক আইডি থেকে। এবিষয়ে সামাজিক ভাবে বিচারপ্রার্থী হওয়ায় ২১ আগস্ট শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিচারপ্রার্থী জয়নাল আবেদিনসহ পূর্ব থেকে একঘরে হওয়া গ্রামের ৩টি পরিবারের লোকজনের উপর সংঘবদ্ধভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। বাড়ির মালামাল ও দোকান ভাঙ্গচুর করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে একঘরে হওয়া তিনটি পরিবারকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ, ফেসবুক আপত্তিকর পোস্ট ও তাদের উপর সংঘবদ্ধ হামলার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান।
এরআগে দুপুরে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্টকে কেন্দ্র করে গুরেশপুর গ্রামের দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন একই গ্রামের মছদ আলী (৫৫), অজুদ আলী (৬০), জয়নাল আবেদিন (৫০), হাসিনা (৩৭), এমরান (১৬), সালমান (২০) ও সাখাওয়াত হোসেন (৭)। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এব্যাপারে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাশেম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
 
 
 
 
একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages