ইউপি মেম্বারের বাড়িতে ভাংচুরের অভিযোগ-একুশে মিডিয়া - একুশে মিডিয়া একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ গণমাধ্যম হিসেবে সংবাদ পরিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

ক্লিক করুন

Breaking News

Home Top Ad

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Thursday, 5 July 2018

ইউপি মেম্বারের বাড়িতে ভাংচুরের অভিযোগ-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া ডেস্ক:
ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় মৃত জালাল উদ্দিন মেম্বারের বাড়িতে ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই জালাল উদ্দিন মেম্বারের স্ত্রী লিপি আক্তার বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় আজহারুল ও রাসেল নামে দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
গত ২৯ জুন শুক্রবার বিকালে চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের ঈশ্বরদিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে । আজহারুল চর ঈশ্বরদিয়া গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে। রাসেল একই এলাকার দিনা মিয়ার ছেলে।
জালাল উদ্দিন মেম্বারের স্ত্রী লিপি আক্তার জানান, আমার স্বামী ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার থাকা অবস্থায় গত বছরের ৪ নভেম্বর মারা যান। এ সুযোগে আমার দেবর ও ভাসুররা আমাকে এখান থেকে তাড়াতে উঠে পরে লেগেছে। এরই জেরে গত ২৯ জুন শুক্রবার আমার ছেলে লিপচনের সাথে মোবাইল বিক্রির টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র করে নেশাখোর রাসেল আমার ছেলের সাথে ঝগড়া করে। ঝগড়া করে বাড়িতে ফিরে নেশাখোর আজহারুলের সেল্টারে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে ভাংচুর করে স্বর্ণালংকার ও নগদ ত্রিশ হাজার টাকা লোটপাট করে নিয়ে যায়। এ সময় আমাকে একা পেয়ে মারধর করে। পরে এলাকাবাসীর চাপে স্থানীয় গ্রাম্য শালিশে মিমাংসা করার আশ্বাসে মামলা এফআইআর করিনি। স্থানীয় চেয়ারম্যানের উপস্থিতে ৫ জুলাই শালিশে মিমাংসা করার কথা থাকলে বাদী পক্ষ উপস্থিত না থাকায় বিষয়টি মিমাংসা হয়নি।

পরে লিপচন শালিশ থেকে বাড়ি ফেরার পথে কোন মামলা না থাকা সত্বেও পুলিশ আমার ছেলেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। কি কারণে পুলিশ তার ছেলেকে গ্রেফতার করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে লিপি আক্তার বলেন, আসামিপক্ষ ষড়যন্ত্র করে আমার ছেলেকে গ্রেফতার করিয়েছে।
হামলার ঘটনার সময় উপস্থিত অনেকেই জানিয়েছেন, আজহারুল ও রাসেল দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর বাড়ি ভাংচুর করে। ঘরের থাকা টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় হামলাকারীরা। তবে পুলিশ কেন বলছে নিজের ঘরে নিজেরাই ভাংচুর করছে এমন কথার কারণ কি তা বুঝতে পারছেন না উপস্থিত থাকা লোকেরা।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ৬নং চর ঈশ্বরদিয়ার চেয়ারম্যান মোর্শেদুল আলম জাহাঙ্গীর বলেন, রাসেল ও আজহারুলের বিষয়ে এর আগেও একাধিক শালিশ করেছি। আজহারুলের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে ওই এলাকার এক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে দেশিয় অস্ত্রসহ দলবদ নিয়ে হামলা করে ঘরের ভেতরের আসবাবপত্র কুপিয়ে লোটপাট করে চলে আসে। এ ঘটনায় থানায় মামলা রয়েছে।
আজহারুল নেশার সঙ্গে জড়িত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ বলছে আজহারুল ইয়াবা সেবন ও ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত আছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই নিরুপম নাগ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বাদি পক্ষই তাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে। এখন আসামি পক্ষকে দোষী করেছে বলেও জানান তিনি। তারা নেশার সঙ্গে জড়িত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হামলাকারী দুটি ছেলেই নেশার সাথে জড়িত। সূত্র: বিডি২৪লাইভ।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages