![]() |
একুশে মিডিয়া, ক্রীড়া রিপোর্ট:
যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। ফ্লোরিডার লডারহিল সেন্ট্রাল ব্রোয়ার্ড রিজিওনাল পার্কের এই মাঠটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেরদের দ্বিতীয় হোম ভেন্যু হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। স্যামুয়েলস-রাসেলদের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির টুর্নামেন্ট ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগও (সিপিএল) আয়োজন করা হয়েছে বেশ কয়েকবার। তবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে চিত্রটি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। পুরো মাঠ জুড়েই লাল-সবুজের সমর্থকদের আধিপত্য ছিল। এ যেন ‘মিনি বাংলাদেশ’। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসে প্রবাসী সমর্থকরা।
টেস্টে ধবলধোলাই হবার ওয়ানডেতে চমৎকার পারফরম্যান্সে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ এ জয় পায়। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচে হারতে হয় সাকিব আল হাসান নেতৃত্বাধীন দলকে।
সমতায় ফেরার ম্যাচে মার্কিন মুল্লুকে এদিন প্রথম দিকে ব্যাকফুটে চলে গেলেও তামিম-সাকিবের দৃঢ়তায় বড় সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় টাইগাররা।
দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানদের কোণঠাসা করে দিয়ে ম্যাচে নিজেদের দাপট দেখায় বাংলাদেশের বোলাররাও।
পাশাপাশি ‘বাংলাদেশ’ ‘বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে মুখরিত ছিল গ্যালারি।
সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ১২ রানে জয় পায় সফরকারীরা। ব্যাট হাতে ৩৮ বলে ৬০ এবং ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার।
ম্যাচ শেষে সাকিব ভুললেন না প্রবাসী বাঙালিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে।
অধিনায়ক বলেন, গ্যালারিতে সমর্থকদের অকুণ্ঠ সমর্থন সবসময়ই বড় একটি ব্যাপার। কখনও মনেই হয়নি আমরা ঘর থেকে বাইরে খেলছি। মনে হচ্ছিল, আমি বাংলাদেশেই খেলছি। আশা করি আগামীকালও তারা আমাদের এভাবে সমর্থন দেবেন।
তবে এই জয়েই সন্তুষ্ট নন সাকিব। গত ম্যাচে হারের পর নতুন করে শক্তি পেয়েছে দল এমনটাই মনে করেন সাকিব।
৩১ বছর বয়সী এই তারকা বলেন, আমি মনে করি, সেন্ট কিটসে হারের পরও জয়ের বিশ্বাসটা কাজে দিয়েছে। নিজেদের মধ্যে আমরা বেশ ভালো একটা আলোচনা করেছিলাম। সবাই বিশ্বাসী ছিলাম যে, এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে আমরা হারাতে পারি। এই মানসিকতাই দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছে। একুশে মিডিয়া।’
No comments:
Post a Comment