সাজেদুল ইসলাম টিটু, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনি ধি:>>>
একটু বড় হয়ে ভিতর থেকে লেখার প্রতি তাগিদ অনুভব করতেন। তখন যা মনে আসত তাই লিখত। প্রতিদিন ডায়রি লিখত। ছোট ছোট কোন স্মৃতি,ছড়া,কবিতা লিখতে তার ভাল লাগতো,ভাল হোক কিংবা মন্দ হোক। এভাবেই লেখার অভ্যেসটা শুরু হয় জেসমিন রুমির।
১৯৮০ সালের ২৭ জুলাই জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার বড় মানিক গ্রামে তার জন্ম। মোঃ আক্কাস আলী ও তহমিনা বেগমের চার কন্যার মধ্যে জেসমিন রুমি তৃত্বীয়। পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ ও রাজশাহী কলেজে বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি।
এবারের অমর একুশে বই মেলায় জেসমিন রুমির চারটি গ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছে। একটি কাব্য গ্রন্থ 'কষ্টলীনা'। গল্প গ্রন্থ দুটির মধ্যে একটি হচ্ছে 'অনেক বৃষ্টি ঝরে' অপরটি হচ্ছে 'স্মৃতির ক্যানভাস'। সর্বশেষ হচ্ছে,শিশুতোষ গল্পের বই 'রাক্ষস'। বই গুলো পায়রা প্রকাশ'র ৩৩৭ নং স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। এ পর্যন্ত জেসমিন রুমির পাঁচটি একক ও পাঁচটি যৌথভাবে গ্রন্থ প্রকাশ পেয়েছে।
নিজের লেখা এবারের চারটি বই সম্পর্কে জেসমিন রুমি বলেন,কাব্য গ্রন্থের প্রতিটা কবিতা নতুন,যেখানে প্রেম আছে বিরহ আছে, সমাজ পরিবর্তনের কথা আছে, বিবেক বোধ জাগ্রত করার আহ্বান আছে৷ আমি আশা করি,পাঠকের ভাল লাগবে৷
‘স্মৃতির ক্যানভাস’ আমার জীবনের বিভিন্ন সময়ের টুকরো টুকরো স্মৃতি কথা দিয়ে সাজানো৷ আর পাঁচটি ছোট গল্প নিয়ে ‘অনেক বৃষ্টি ঝরে’ গ্রন্থটি৷ গল্পগুলো জীবন ছোঁয়া, সাধারণ মানুষের গল্প৷ খুব সাধারণ ভাষায় লেখা৷
শিশুতোষ গল্প ‘রাক্ষস' ছোট বেলায় আমার নানার মুখ থেকে একাধিকবার শুনেছি৷ আমার খুব ভাল লাগতো৷ শোনা গল্পটি আমি আমার ভাষায় লেখার চেষ্টা করেছি,আমি আশাবাদী শিশু কিশোরদের গল্পটি ভাল লাগবে৷
জেসমিন রুমি আরো বলেন,আমার লেখার বিষয় বস্তু জীবন ঘনিষ্ঠ, খুব সাধারণ৷ আমাদের আশেপাশে দেখা চরিত্র গুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি৷ সম্পূর্ণ রাজনীতিমুক্ত৷ আমার সকল পাঠকের প্রতি আমি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল ৷ আমি মনে করি, পাঠক ছাড়া লেখকের কোন মূল্য নেই৷ পাঠক যতদিন আছে একজন লেখক ততদিন পাঠকের মনে বেঁচে থাকেন৷
একুশে মিডিয়া/এমএ
No comments:
Post a Comment