বাঁশখালীতে আগস্টের প্রথম প্রহরে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন: ছাত্রলীগ-একুশে মিডিয়া - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Tuesday 31 July 2018

বাঁশখালীতে আগস্টের প্রথম প্রহরে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন: ছাত্রলীগ-একুশে মিডিয়া


একুশে মিডিয়া, চট্টগ্রাম রিপোর্ট:

শোকাবহ আগস্টের প্রথম প্রহরে জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা শুরু হলো শোকের মাস আগস্ট। পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট কিছু সংখ্যক উচ্ছশৃঙ্খল সেনা সদস্য বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে ।

বাঙালীর ইতিহাসের শোকাবহ মাসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে আওয়ামী লীগ।

শোকের মাসের প্রথম প্রহরে ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সারা দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আ.ন.ম ফরহাদুল আলম সহ জেলা, উপজেলা, কলেজ ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা কর্মিরা।


বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা জঙ্গিবাদ নির্মূলের অঙ্গীকার করেছেন তারা।

১৯৭৫ সালের এ মাসে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় স্বপরিবারে নিহত হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

শোকাবহ সে দিনটি স্মরণ করে মাসের প্রথম প্রহরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আ.ন.ম ফরহদুল আলম

জানান, বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হবে। জঙ্গিবাদ রুখতে শোকের মাসে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শপথ নেন নেতা কর্মীরা।

যে কোনো মূল্যে জঙ্গিবাদ নামের অপশক্তির মোকাবেলা করে এর মূল উৎপাটন করে বঙ্গবন্ধুর গড়া নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ তৈরির কাজে এগিয়ে যাবেন বলে দলের পক্ষ থেকে অঙ্গীকার করেন এই ছাত্রলীগ নেতা।

১৭ মার্চ ১৯২০ সাল, গোপালগঞ্জের নিভৃত পল্লী টুঙ্গিপাড়ার শেখ লুৎফুর রহমান এবং সায়রা বেগমের ঘরে জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান।

অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ, মানুষের প্রতি মমত্ববোধ আর রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় তিনি হয়ে উঠেন বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্খার মূর্ত প্রতীক। ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ, ৪৯ এ আওয়ামী মুসলীম লীগ গঠন করেন তিনি।

১৯৫২’র ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার পর ১৯৬১ সালে গোপনে গঠন করেন স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ।

১৯৬৩ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ৬৬’র ছয় দফা আর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার পথ ধরে ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান।

৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সরকার গঠন করতে দেয়নি পাকিস্তানিরা। স্বায়ত্তশাসনের সংগ্রাম রূপ নেয় স্বাধীনতা আন্দোলনে।

৭ মার্চ ১৯৭১, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক মহাকাব্যিক এক ভাষণে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয় বাঙালি।

মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের আগে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বন্দি বঙ্গবন্ধুকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়েও স্বাধীনতার বজ্র শপথ থেকে একটুও সরাতে পারেনি পাকিস্তানি সামরিক জান্তা।

নয় মাস যুদ্ধ করে পাকিস্তানের শৃংখলমুক্ত হয় বাঙালি।

পাকিস্তানের কারাগার থেকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু।

মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভের পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশে এসে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দেন সুখি-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার।

বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে, সোনার বাংলা গড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

ঠিক সেসময়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কাল রাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল সেনা সদস্যের গুলিতে থেমে যায় ইতিহাস, হত্যা করা হয় বাঙালির প্রাণের নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

ঘাতকের বুলেট কেড়ে নেয় তার স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল ও শেখ জামালসহ ১৭ জনের প্রাণ ।

ঘাতকদের নিষ্ঠুরতা থেকে সেদিন রক্ষা পায়নি ৯ বছরের অবুঝ শিশু শেখ রাসেলও।

বঙ্গবন্ধু এখন চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন সেই মধুমতি নদীর তীরে, যে নদী তাকে একদিন শিখিয়েছিলো এ দেশের মাটি ও মানুষকে ভালোবাসতে।

লাল-সবুজের বাংলাদেশে বাঙালীর হৃদয়ে ভালোবাসায় অনাদিকাল বেঁচে থাকবেন বাঙালি জাতির অহংকার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আরোও বলেন, জাতিক জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  ইতিহাসের পাতায় লেখে শেষ করা যাবে না। একুশে মিডিয়া।

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages