চৌদ্দগ্রামে পাওনা টাকা চাওয়ায় প্রবাসীর বিরুদ্ধে থানায় বানোয়াট অভিযোগ - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Wednesday 25 December 2019

চৌদ্দগ্রামে পাওনা টাকা চাওয়ায় প্রবাসীর বিরুদ্ধে থানায় বানোয়াট অভিযোগ


এম এ হাসান, কুমিল্লা:>>>
প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা এদেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আসছেন, কিন্তু এমনই এক প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কুয়েত প্রবাসী জামাল আহমেদ, তিনি ২০০৪ সালে মধ্যে প্রাচ্যের আরব দেশ কুয়েতে পাড়ি জমিয়ে অদ্যবিধি প্রায় ১৭বছর কর্মরত থাকা এই প্রবাসীকে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ শিরোনামে কুমিল্লা জেলার স্থানীয় একটি নিউজ পোর্টালে একটি সংবাদ প্রচার হওয়ায় পুরো এলাকায় ত্রীব নিন্দার জড় উঠেছে।
প্রবাস পেরত রেমিট্যান্স যোদ্ধা কেনইবা চিহ্নিত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ হবে এই সংবাদের সূত্র ধরে জানা যায় যে ২১ই ডিসেম্বর শনিবার উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের নোয়াবাজার এর ব্যবসায়ী ইউনুস মেম্বার এর নিকট পাওনা টাকা চাওয়ার সূত্রে প্রবাসী জামাল আহমেদ ও ব্যবসায়ী ইউনুস মেম্বার এর মধ্যে হাতাহাতি হয় এতে উপস্থিত পাশ্ববর্তী দোকানদার ও স্থানীয়রা তাদের ছাড়িয়ে নেন,উক্ত হাতাহাতি তে উভয়ে হালকা কিল ঘুষি জনিত জখম হয়েছে। এরই মাঝে স্থানীয়রা বিষয় টি ইউপি চেয়ারম্যান কে অবগত করার পর তিনি উভয়ের লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে প্রবাসী জামাল আহমেদ বাড়ী চলে যায়, এই পাকে মেম্বার স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সাথে আলাপ আলোচনা ছাড়াই নিকটস্থ চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি ভিত্তি হীন ঘটনার বিপরীত তথ্য দিয়ে একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন।পরদিন থানা থেকে সংবাদ পেয়ে প্রবাসী জামাল আহমেদ এর বড় ভাই স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ী কামাল আহমেদ একটি অভিযোগ দায়ের করেন।প্রবাস পেরত জামাল আহমেদ এর সাথে একই ইউনিয়নের বাসিন্দা সুম্পর্কিত ব্যক্তির সাথে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কারণে প্রবাসী তার পূর্বে লেনদেন কৃত টাকা চাওয়ার সূত্রে প্রবাসে লেনদেনকৃত পাওনা টাকা চাওয়ায় মো. জামাল আহাম্মদ নামে ছুটিতে আসা প্রবাসীকে চাঁদাবাজ সাজিয়ে মারধরের পর থানায় অভিযোগ দায়ের করে পত্রিকায় নিউজ করালো কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কালিকাপুর ইউনিয়নের এক সাবেক ইউপি সদস্য।
জানা যায় যে সিলেকশন এ নির্বাচিত সাবেক ইউপি সদস্যের নাম মো. ইউনুস (৫০) সে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ছুফুয়া গ্রামের মৃত নোয়াব আলীর ছেলে।খোঁজ নিয়ে যানা যায় এই মেম্বার এর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে মারাত্মক ত্রুটির বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
এঘটনায় ভুক্তভোগি জামাল আহাম্মেদ এর বড় ভাই মো. কামাল আহাম্মেদ বাদী হয়ে ইউনুস মেম্বারকে বিবাদী করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জামাল এর কাছ থেকে বিদেশে লেনদেনকৃত (হাওলাতি) ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বিভিন্ন সময় ফেরৎ দেওয়ার কথা বলেও ফেরৎ না দেওয়ায় কিছুদিন আগে গ্রাম্য কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তির মাধ্যমে বিষয়টির মিমাংশা করা হয়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘটনার দিন শনিবার (২১ ডিসেম্বর) উল্লেখিত ওই পাওনা টাকাগুলো ফেরৎ দেওয়ার কথা ছিল।
ওইদিন সন্ধ্যায় জামাল আহাম্মেদ তার বড় ভাই কামাল আহাম্মেদ ও কয়েকজন স্বাক্ষীকে সাথে নিয়ে পাওনা টাকাগুলো আনতে উপজেলার নোয়াবাজারস্থ ইউনুস মেম্বারের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে গেলে অভিযুক্ত ইউনুস মেম্বার ক্ষিপ্ত হয়ে পাওনাদার জামাল আহাম্মেদ এর উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষের হাতাহাতির এক পর্যায়ে ইউনুস কিল-ঘুসি মেরে জামালকে নীলা-ফুলা রক্তাক্ত জখমী করে। এঘটনায় ইউনুস নিজেও আহত হয়। পরে স্থানীয়রা এসে অনাকাঙ্খিত ঘটনার মিমাংশার আশ্বাস দিয়ে উভয়পক্ষকে ঘটনাস্থল ত্যাগে বাধ্য করে।
পরে ইউনুস মেম্বার থানায় গিয়ে জামালকে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার কথা উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুমিল্লার একটি দৈনিক পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে জামালের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে সু-কৌশলে নিউজ প্রকাশ করান।
যাতে অভিযোগকারী ইউনুস মেম্বার ছাড়া বিবাদী সহ দায়িত্বশীল কোন ব্যক্তির বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়নি। যা একটা নিউজের অবকাঠামোগত নিয়মের পরিপন্থী বলে ধরা যায়। এঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগি মো. জামাল আহাম্মেদ ও তার বড় ভাই মো. কামাল আহাম্মেদ।
এবিষয়ে আহত জামালের ভাই কামাল আহাম্মেদ বলেন, “আমার ভাই পাওনা টাকা চাইতে গেলে ইউনুস মেম্বার টাকা প্রদান করতে অস্বীকার করে। পরে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই সে আমার ভাইয়ের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে মৌখিকভাবে অবহিত করেছি।
পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পরামর্শক্রমে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে এবং আমার ভাইয়ের পাওনা টাকাগুলো ফেরৎ পেতে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি”। এবিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই মো. আরিফ হোসেন বলেন আমরা ঘটনাস্থলে তদন্ত করেছি সেখানে বিবাদী অনুপস্থিত ছিলেন, পাশ্ববর্তী বিভিন্ন দোকান দার এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা লোকজনের বক্তব্য নিয়েছি এটি মূলত পাওনা টাকা চাওয়া কে কেন্দ্র করে হয়েছে,এই বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় সকলে একমত পোষণ হওয়ায় আমি উভয় পক্ষ কে থানায় বসার বিষয় টি জানিয়েছি।অপরদিকে মেম্বার ইউনুস এর দায়ের করা অভিযোগ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে এসআই নুরুজ্জামান অভিযোগ এর তথ্য টি নিশ্চিত করেন,তিনি ঘটনা স্থলে এখনো পর্যন্ত এসে তদন্ত করতে পারেননি থানায় কাজ থাকার জন্য, অপরদিকেইউনুস মেম্বার এর দোকানে অনুপস্থিত থাকায় উনার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে বলার অপেক্ষা ই রাখেনা পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট স্থানীয় ঘটনাস্থল ইউপি চেয়ারম্যান থেকে কোন রুপ তথ্য নিশ্চিত না হয়ে ভুক্ত ভুগি উভয়ের বক্তব্য না ঐ অনলাইন নিউজ পোর্টাল কিসের ভিত্তি তে একজন প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা কে ভিত্তি হীন মন্তব্য প্রকাশ করেছেন? আমাদের একটি কামনা সামান্য আর্থিক স্বার্থে গণমাধ্যম কে হলুদের মিশ্রণ থেকে দূরে রাখুক সকল সাংবাদিক বৃন্দ।





একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages