নড়াইলের মধুমতি নদী তীরের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে দীর্ঘসূত্রিতা ও অনিয়মের অভিযোগ যাচাইয়ে দুদক - Ekushey Media bangla newspaper

Breaking News

Home Top Ad

এইখানেই আপনার বা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ: 01915-392400

নিউজের উপরে বিজ্ঞাপন

Friday 20 December 2019

নড়াইলের মধুমতি নদী তীরের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে দীর্ঘসূত্রিতা ও অনিয়মের অভিযোগ যাচাইয়ে দুদক


উজ্জ্বল রায়, নড়াইল:>>>
নড়াইল সকাল ১০টায় দুদকের একটি চৌকস টীম নিয়ে  নড়াইলের মধুমতি নদী তীরের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে দীর্ঘসূত্রিতা ও অনিয়মের অভিযোগ যাচাইয়ে দুদক অভিযানের রিপোর্টের পর এবার সরাসরি দুদক কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম পরিদর্শন করলেন ঘাঘা নদীভাঙ্গন এলাকা। ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে শতভাগ মানসম্মতভাবে কাজ করতে না পারলে কোন অজুহাত শোনা হবে না।
ঠিকাদার ও বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের এমন চুড়ান্ত সর্তকতা শুনিয়ে গেলেন দুদক কমিশনার এ,এফ,এম আমিনুল ইসলাম। এ সময় তিনি এলাকার সাধারণ জনগণকে কাজ ভালো করে বুঝিয়ে নেয়া এবং দেখভাল করারও অনুরোধ করেন। উজ্জ্বল রায় নড়াইল থেকে জানান,
সকাল ১০টায় দুদকের একটি চৌকস টীম নিয়ে নড়াইলের লোহগড়ার মধুমতি নদী তীরের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম।
এ সময় দুদক কমিশনার আরো বলেন, ‘আমাদের একটাই ম্যাসেজ সেটা হলো যেই হোকনা কেন, যতবড় ক্ষমতাশালী এলাকার মধ্যে দেখাক না কেনো , দুদক যদি কোথাও হাত দেয় সে কিন্তু সর্বশান্ত হয়ে যাবে, এটাই আমার ম্যাসেজ।’
সুতারাং যে কাজ যার ওপর যে দায়িত্ব দেওয়া আছে, সেই দায়িত্ব নিয়ে তাকে কাজটা সম্পন্ন করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বুঝে নিতে জনসাধারনের প্রতি আহবান জানিয়ে আরো বলেন, জনগণই দুদকের প্রতিনিধি, জনগণের কষ্ট লাঘোবে গৃহিত সরকারের সব প্রকল্প বুঝে নেয়ার দায়িত্ব জনগনকেই নিতে হবে। কাজে কোন দুর্নীতি অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে দুদককে জানালে দুদকের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে মধুমতি নদী তীরের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে দীর্ঘসূত্রিতা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার নির্বাচনী এলাকায় একাধিকবার পরিদর্শন করেছেন এবং সর্বশেষ গত ০২ ডিসেম্বর এ নদী তীরের কাজ পরিদর্শনকালে জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়ে যান তিনি।
উল্লেখ্য, ১১ কোটি টাকা ব্যায়ে ৪১০ মিটার স্থায়ী নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজ ২০১৯ সালের জানুয়ারীতে শুরু হয়ে ২০১৯ সালের জুন মাসে সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিলো। নির্ধারিত সময়ে কাজটি শেষ না হওয়ায় এ বছরের নদী ভাঙ্গনে প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর, ফসলী জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের ৬ মাস পার হলেও বর্তমানে কাজের ৩৫% কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানাগেছে।
এ সময় জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ড নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী হাফিজুর রহমান, ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ঠরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাগেছে এর আগে গত ২৪ নভেম্বর নড়াইলের লোহগড়ার মধুমতি নদী তীরের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে দীর্ঘসূত্রিতা ও অনিয়মের অভিযোগ যাচাইয়ে দুদক যশোরের উপ-পরিচালক নাজমুসছাদাত অভিযান পরিচালন করেন। অভিযানের রিপোর্টের পর সরাসরি দুদক কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম এ কাজের পরিদর্শন করেন।




একুশে মিডিয়া/এমএসএ

No comments:

Post a Comment

নিউজের নীচে। বিজ্ঞাপনের জন্য খালী আছে

Pages